সাম্প্রতিক শিরোনাম

মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক নেতা সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ ১০ই নভেম্বর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের এক বৈশ্বিক মহানায়ক তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভের ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯শে ডিসেম্বর ১৯০৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সালের ১০ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মুলত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সরাসরি পাকিস্তান এবং তার অন্যতম বৈশ্বিক সহায়তাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।

বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই ভারতে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ও তার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, খাদ্য এবং তার পাশাপাশি প্রায় দুই কোটি সাধারণ মানুষকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ণ সমর্থন ও সাহায্য করে গেলেও যুদ্ধে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পরার প্রবল আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় দ্রুত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রয়োজন ছিলো ভারতের পাশাপাশি আরেক বিশ্বশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন এবং বৈশ্বিক সহায়তা। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর স্বাক্ষরিত সোভিয়েত-ভারত মৈত্রী চুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে দারুণ একটি সুযোগ এনে দেয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন বিশ্বের এক নম্বর সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বিরতির ষড়যন্ত্র শুরু করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন সরাসরি নির্যাতিত ও অসহায় বাঙালিদের সমর্থন দেয়।

প্রথমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে বঙ্গপোসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠানোর চক্রান্ত করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহনের হুমকি দেয়। দ্বিতীয়ত, সোভিয়েত ইউনিয়ন যে আসল উপকারটা করে সেটা হলো বৈশ্বিক পর্যায়ে কূটনীতিক কর্মকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪,৫ ও ১৩ তারিখে পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিন নিক্সন সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো প্রদান করলে তা বাতিল হয়ে যায়। মাত্র নয়দিনের ব্যবধানে তিন তিনবার পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব বাতিল হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটোর কারণে। ঐ সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ হলে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের চূড়ান্ত বিজয় হয়ত এতো দ্রুত অর্জন করা সম্ভব হতো না।

সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক পদক্ষেপের হুশিয়ারি ও জাতিসংঘে সরাসরি ভেটো প্রদান আমাদের মহান স্বাধীনতার অর্জনের পথকে অনেকটাই সহজ করে দেয়। আর এক্ষেত্রে যে মহান মানুষটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তিনি হলেন তৎকালীন বিশ্ব পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভ। তার দীর্ঘ ১৮ বছরের শাসনামলে সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এই বৈশ্বিক মহানায়কের আজ ৩৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রইল বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।


সিরাজুর রহমান

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...