মতিহার হল। ক্যাম্পাসের নামের সাথে মিল রেখেই হলটির নামকরণ করা হয়েছে মতিহার হল। এই হলটি দেখে অনেকে নাক সিঁটকাতেন এ জন্য যে, হলটিতে ছাত্রদের বসবাসযোগ্য কোন আধুনিক সুযোগ সুবিধা ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
কিন্তু হলটির বড় বৈশিষ্ঠ্য এই যে, এখানে সকল ধর্মের, সকল দলের ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ সহাবস্তান করতেন। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ছিল ছাত্রদের মধ্যে। পড়াশোনার একটি সুন্দর ও অনুকুল পরিবেশ ছিল বলেই আজকে এই হলের প্রাক্তনীরা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশের নামে এই হলটির নামকরণ করা হয়।
পরবর্তীতে মাদার বখশ নামে অন্য একটি হলের নামকরণ করা হলে কর্তৃপক্ষ এই হলটির নামকরণ করেন মতিহার হল।
কালক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এই হলটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু নামে নতুন একটি হল নির্মাণ করা হয়েছে। অভিনন্দন।
কিন্তু স্মৃতিবিজড়িত এই হলটির কথা অনেকেই ভুলতে বসেছে। কিন্তু আমরা যারা এই হলটির আবাসিক ছাত্র ছিলাম তাদের জন্য এই হলটি ছিল অনেক আবেগ,ভালেবাসার তীর্থস্থান।
বাস্তবিকই হলটি ভেঙ্গে ফেলা হলেও আমাদের হ্রদয়ের মন্দিরে হলটি বেঁচে থাকবে অনাদিকাল।
লেখক: শমিত জামান, সাংবাদিক কলামিস্ট।