সাম্প্রতিক শিরোনাম

বাঙ্গালী জাতির এক অবিস্মরণীয় দিন, যা ঘটেছিলো আজকের এই দিনে

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির আম্রকাননে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। এর ২১৪ বছর পর পলাশির আম্রকাননের অদূরে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানদের শপথের মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রার এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দর ১৭ ই এপ্রিল বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করে। এই স্থানকে পরবর্তী সময়ে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালানুক্রমিক ধারায় এই অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের দিনকে ‘মুজিবনগর দিবস হিসাবে’ আখ্যায়িত করা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের পর, ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এ দিনে ঘোষিত এক ঘোষণাপত্রে, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও তাজউদ্দীন আহমদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এছাড়া জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রবকে চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করা হয়।

১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ দেশবাসীর উদ্দেশে বেতার ভাষণ দেন। এই ভাষণ আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দীনের ভাষণের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের বৈধ সরকার গঠনের বিষয়টি বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ ই এপ্রিল অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করে এবং অনুষ্ঠানে কয়েক প্লাটুন ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধা শপথ গ্রহণ করে। উক্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়।

১৭ই এপ্রিলের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এবং অনুষ্ঠানে এঁদের পরিচয় করিয়ে দেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভাষণ দেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

এই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। ২৬ শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষনাকে এর মাধ্যমে প্রতিপাদন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এই সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকার কারণে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।

১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকার:

রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উপরাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরূল ইসলাম (রাষ্ট্রপতির অনুপুস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন)
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমদ
আইন ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী: খোন্দকার মোশতাক আহমদ
অর্থমন্ত্রী: এম. মনসুর আলী
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী: এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান
সশস্ত্রবাহিনী প্রধান: জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
চিফ অব স্টাফ: মেজর জেনারেল আবদুর রব।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...