সাম্প্রতিক শিরোনাম

সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ আর কত দিনে শেষ হবে?

সিরাজুর রহমানঃ মধ্যপ্রাচ্যের আরব বসন্তের জোয়ারে ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে সিরিয়া জড়িয়ে পড়ে এক ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধে। আর আসাদ সরকারকে উৎখাতের চলামান এই প্রাণঘাতী যুদ্ধে মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ নয় বছরে সিরিয়ান বিমান বাহিনীর আনুমানিক মোট ১২৫টি বা তার কাছাকাছি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং সামরিক পরিবহণ বিমান বা এরিয়াল সিস্টেম আকাশেই ধ্বংস কিম্বা আসাদ বিরোধী মিলিশিয়া গ্রুপের ম্যানপ্যাড মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে।

তাছাড়া ২০১৫ সালের শেষের দিকে নাটকীয়ভাবে রাশিয়ার পুতিন সরকার সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তার অংশ হিসেবে সরাসরি এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে এবং ইরানের সামরিক সহায়তায় এই যুদ্ধের ধরণ এবং ভয়বহতা হঠাৎ করেই ব্যাপক আকার ধারণ করে। আর রাশিয়া এবং ইরানের সামরিক সহয়তায় আসাদ বাহিনী বড় ধরণের সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এখানে প্রকাশ যোগ্য যে, সিরিয়া যুদ্ধের এ পর্যন্ত রাশিয়া তাদের ২০টি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং সামরিক পরিবহণ বিমান এবং অজানা সংখ্যক ড্রোন হারায়।

আবার ঠিক একই সময়ে ৩১শে মার্চ ২০২০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার আকাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪টি, ইসরাইলের ৪টি, ইরানের ৩টি, তুরস্কের ৩টি এবং জর্ডানের ১টি যুদ্ধবিমান কিংবা অন্যান্য আকাশ যান ধ্বংস কিংবা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। অবশ্য এ গৃহ যুদ্ধের প্রথম চার বছরে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের বেশিরভাগ বিমান হারায় এবং নয় বছর ব্যাপী চলমান দীর্ঘ মেয়াদী এই যুদ্ধে সিরিয়ান বিমান বাহিনীর ৭০% পর্যন্ত এয়ার কমব্যাট ক্যাপাবিলিটি হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করা হয়। আর রাশিয়া ২০১৫ সরাসরি এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় পরবর্তীতেত সিরিয়ান সামরিক বাহিনীর এরিয়াল সিস্টেম ধ্বংস হওয়ার হার ও প্রবণতা অনেকটাই কমে আসলেও যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার অত্যাধুনিক এসইউ-৩০, কে-৫২ এট্যাক হেলকপ্টার এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে একটি নজরদারি বিমান ভূপাতিত হলে তাতে থাকা ১৪ জন নিরাপরাধ ক্রু এবং অফিসারের মৃত্যু রাশিয়ার জন্য চরম বিপর্যয়কর হিসেবে দেখা দেয়।

তাছাড়া ২০১৬ সালের দিকে রাশিয়ার একটি এসইউ-২৪ জেট ফাইটার/বোম্বার সিরিয়ার আকাশে তুরস্কের এফ-১৬ এর এআইএম-১২০সি এয়ার টু এয়ার মিসাইলের আঘাতে সরাসরি শুড ডাউন হলে তা বিশ্বের অন্যতম সামরিক পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়ার জন্য বড় ধরণের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দেখা দেয়। তবে সিরিয়া এবং ইরানের মিডিয়ার তথ্যমতে, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে সিরিয়ার আকাশে ইসরাইলের একটি সুপার এডভান্স এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার সিরিয়ান বাহিনীর এস-২০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মিসাইলের আঘাতে একেবারে ধ্বংস না হলেও মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আবার চলতি ২০২০ সালের প্রথম দিকে ইবদিল দখলকে কেন্দ্র করে সিরিয়া আসাদ বাহিনী এবং তুরস্কের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হলে তুর্কী এট্যাক ড্রোনের মিসাইলের আঘাতে আটটি বা তার কাছাকাছি যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার হারায় আসাদের বিমান বাহিনী।

যদিও এ সময় আসাদ বাহিনী তাদের হাতে থাকা রাশিয়ান ম্যানপ্যাড মিসাইল দিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক তুর্কী ড্রোন ধ্বংস করে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সিরিয়ার এ যুদ্ধে তুরস্ক কিন্তু তাদের উচ্চ প্রযুক্তির জ্যামার সিস্টেম ব্যবহার করে ড্রোনের সাহায্যে সিরিয়ায় ইবদিলের আশে পাশে থাকা বেশ কিছু রাশিয়ান পান্তাসির এবং বাক-২/৩ কিংবা অন্যান্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রথমে একেবারেই অচল করে দিয়ে পরবর্তীতে মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস করে ফেলে। তাছাড়া এই সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে তুরস্ক তাদের অত্যাধুনিক বেশ কিছু নতুন যুদ্ধাস্ত্র যেমন এসওএম-বি২ সিরিজের এয়ার টু ল্যাণ্ড ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে বলে প্রতিয়মান করা হয়। যা হোক এত কিছুর পরও ২০১৬ সাল থেকে সিরিয়ায় মোতায়েন থাকা রাশিয়ান সুপার এডভান্স এস-৪০০ কিংবা এস-৩০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তদের দীর্ঘ কালীন শীতনিদ্রা থেকে জেগে উঠতে পেরেছে বলে মনে হয় না।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...