অস্ট্রেলিয়ার দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি ও তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানায় নাসা।এদিকে, মেলবোর্নে বিষাক্ত ধোঁয়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। এরমধ্যেই, পরিবেশ দূষণকারী কয়লার ব্যবহার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের নেরিগুন্দা গ্রাম।
এক সময় সবুজে বনায়নে সাজা-গোছানো থাকলেও, বর্তমান শুধুই ধ্বংস স্তূপ। যতদূর চোখ যায়, বিধ্বংসী দাবানলের ভয়াবহতার চিহ্ন। দাবানলের আগ্রাসন কিছুটা কমলেও, এখনো জ্বলছে কোথাও কোথাও। বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দাদের ফিরছেনও কেউ কেউ।তারা বলছে, কমলা সতর্কতা যখন জারি করা হয়েছিল তখন আমরা বাড়ি ছাড়ি। তখন ছাড়িদিকে শুধু ধোঁয়া ছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে এখন সবই ধ্বংস স্তূপ। কিছুই অক্ষত নেই।দাবানলের কারণে সৃষ্ট বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিপাকে পড়েছেন মেলবোর্নের বাসিন্দারা।
তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া, কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা কমানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি।তারা বলছে, ১০ বছর ধরে এই শহরে বসবাস করছি। কখনো এমন আবহওয়া দেখিনি। প্রথমবারের মতো বিষাক্ত ধোঁয়ায় চারপাশ আছন্ন হয়ে আছে।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, মেলবোর্নের আবাহাওয়া পরিস্থিতি মঙ্গলবারের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলের দাবানল নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি শিগগিরিই তার ফল পাবো।
এছাড়া, কয়লার ওপর দেশের অনেক মানুষ নির্ভরশীল। কয়লার ওপর থেকে তাদের নির্ভরশীলতার কমানোর আকার ধারণ করবে পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শুধু অস্ট্রেলিয়ায় নয়, দাবানলে বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। পার্শ্ববর্তী নিউজিল্যান্ডের বাতাসের মানের নাটকীয় পরির্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে নাসা।
স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্য ও ছবি বিশ্লেষণ কোরে নাসা আরো জানায়, পরিবেশ দুষণ অব্যাহত থাকলে দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যর আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।