নাগোর্না-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধের প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে তুরস্কের প্রসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে অভিযুক্ত করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এই যুদ্ধে তুরস্ক সেনা পাঠিয়েছে বলেও দাবি করেন আসাদ।
রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইকে দেয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্য দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাশার আল-আসাদ শুধু তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে প্রধান উসকানিদাতা হিসেবেই আখ্যা দেননি, বরং তিনি বলেছেন, সিরিয়া থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নিয়ে সংঘাতপূর্ণ নাগোর্না-কারাবাখ অঞ্চলে মোতায়েন করেছে তুরস্ক।
তবে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে সেনা পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বাশার আল-আসাদ বলেছেন, তিনি (এরদোগান) লিবিয়ায় সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেছেন। আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে নাগোর্না-কারাবাখ ঘিরে সাম্প্রতিক যে সংঘাত শুরু হয়েছে সেখানেও তিনিই এর প্রধান উসকানিদাতা এবং যুদ্ধের মূল পরিকল্পনাকারী।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আসাদ আরো বলেন, ‘নাগোর্না-কারাবাখ সংঘাতে লড়তে সিরীয় ভাড়াটে যোদ্ধাদের সেখানে মোতায়েন করেছে তুরস্ক। দামেস্ক এটি নিশ্চিত করতে পারে।’ তবে আঙ্কারা ও বাকু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের মালিকানা ঘিরে প্রতিবেশি দুই দেশে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকের পর এই অঞ্চলে এত বড় সংঘাত আর কখনও দেখা যায়নি।