সাম্প্রতিক শিরোনাম

ইউএনএইচসিআর প্রকাশ করলো বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থীদের নিয়ে ভয়াবহ প্রতিবেদন

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সারা বিশ্বে চলামান যুদ্ধ কবলিত এলাকায় বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থী মানুষের বাস্তব অবস্থা নিয়ে এক ভয়াবহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যাতে দেখানো হয়েছে যে, ২০১৮ সালে বিশ্বে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫,০০০ এর অধিক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সে হিসেবে প্রতি দুই সেকেন্ডে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন একজন মানুষ।

বর্তমানে সারা বিশ্বের চলমান একাধিক যুদ্ধ কবলিত দেশ এবং অঞ্চলে সব মিলিয়ে বাস্তুহারা মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ১০ লাখে পৌছেছে। যা কিনা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী এবং বাস্তুহারা জনসাধারণের রেকর্ড। এর মধ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ নিজ দেশের সীমান্ত পেরিয়ে পাশ্ববর্তী কোন দেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ আবার অস্থিতিশীল যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য নিজের দেশেই বাস্তুচ্যুত হয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ মানুষ অন্য কোন দেশে গিয়ে আশ্রয় চেয়েছেন।

আসলে ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি, সহিংসতা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনাই এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি এবং তারা কিন্তু ভয়াবহ নির্যাতন এবং নিধণের শিকার। আর বিগত এক দশকে বিশ্বে বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষ করে লিবিয়া, ইরাক ও সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী এবং বিধ্বংসী যুদ্ধ কবলিত দেশগুলোর বহু পরিবারকে নিজ দেশ কিম্বা এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে নিজ দেশেই ক্ষুদ্র জাতি নৃ-গোষ্ঠী গণহত্যা, গৃহযুদ্ধ বা অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আরও যেসব দেশের মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এর মধ্যে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন ও মিয়ানমার অন্যতম।

বিশেষ করে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতন ও ব্যাপক গণহত্যার মুখে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্য থেকে বিপুল সংখ্যক রেহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে কক্সবাজার এবং মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশী এলাকায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় ১২ লক্ষাধিক রেহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। যা কিনা দিন দিন আরো ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই প্রতিয়মান হয়। তাই এটা নিশ্চিত যে, এ মুহুর্তে সারা বিশ্বে যুদ্ধ কবলিত এবং দীর্ঘ মেয়াদী গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশগুলোর মোট লোকসংখ্যার বিচারে ৯০% পর্যন্ত কোন না কোন দেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারী সাধারণ এবং নিরহ লোকজন।

অর্থ্যাৎ এ মুহুর্তে সারা বিশ্বে যুদ্ধ কবলিত অঞ্চলে যতজন লোক মারা যাচ্ছে তার ৮৫% পর্যন্ত ইসলাম ধর্মের সাধারণ লোকজন। আর তাদের সাথে যুদ্ধের আদৌ কোন সম্পর্ক আছে কি না তা নিজেরাই হয়ত জানে না। অথচ মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষায় ওআইসি কিম্বা আরব লীগের মতো একাধিক সংস্থা থাকলেও তাদের যোগত্যা এবং কার্যক্রম নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্নের অবকাশ থেকে যায়। যা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...