ইতালিতে বিদেশিদের প্রতি প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে রোমসহ বিভিন্ন শহরে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ও জরিমানার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর জোসেপ্পে কন্তে শুক্রবার পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, দেশব্যাপি নতুন করে যেন করোনার বিস্তার না ঘটে সেজন্য তিনি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা সীমিত আকারে জারি করতে চান। তবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি
সমূদ্র সৈকতগুলোতে তৎপর রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দেশটির সরকার দ্বিতীয় ধাপে প্রাণঘাতি করোনা মহামারির বিস্তার রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। নাগরিকদের এ বিষয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে
দেশটিতে যখন করোনা প্রায় নিয়ন্ত্রণে, ঠিক তখন বাংলাদেশিদের নতুন করে আক্রান্তের খবর লুফে নিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। অথচ দেশটির সবচেয়ে সংক্রমিত লোম্বার্দিয়া অঞ্চলে এখনও প্রতিদিন ৫০ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। শনিবারও ৬৭ জন লোম্বার্দিয়ায়, ৪৭ জন এমিলিয়া রোমানিয়ানা অঞ্চলে এবং রোমসহ লাছিওতে ১৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে রোম ও লাছিওতে গত দুই দিনে আরও ২০ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে রোববার লাছিওতে ২০ জন নতুন করোনায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১২ জনই বাংলাদেশি, যারা সম্প্রতি ইতালিতে প্রবেশ করেন। এর আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ জন। এ নিয়ে গত তিন দিনে ২৮ জন এবং প্রায় এক মাসে ১২৬ জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত প্রবাসীদের অধিকাংশ বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন।
ইতালির কয়েকটি পত্রিকা উসকানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আতংক ছড়াচ্ছে। এতে ইতালীয়দের মধ্যে অভিবাসীবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন শহরে কড়া নজরদারিতে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রোমের পিয়াচ্ছা বলোনিয়ায় একটি বার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি একটি বার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মাস্ক না পরার কারণে। লাছিওর সমূদ্র সৈকতে ২টি বার ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে না মানার কারণে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৬৬৭ জন ইতালীয়কে সমূদ্র সৈকতে জরিমানা করা হয়েছে আইন অমান্য করার কারণে।