ফেসবুকের পর এবার মিয়ানমারে ব্লক টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতা টেলিনর নিশ্চিত করছে, তাদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গ্রাহকদেরকে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
স্থিতিশীলতা’র লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতারা।
১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান বহু মানুষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছে। ফেসবুকে মিয়ানমারে তথ্য ও সংবাদের প্রাথমিক উৎস। কিন্তু তিন দিন পর ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেওয়া হয় এই সামাজিক মাধ্যমটিকে ব্লক করবার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর, হাজার হাজার ব্যবহারকারী টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে সরব হয়। তারা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধাচারণ করে হ্যাশট্যাগ চালু করে। শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ আর কেউ এ দুটি প্লাটফর্মেও ঢুকতে পারছিল না। এ নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না।
কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মন্ত্রণালয়ের একটি দলিল তারা দেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে এই সামাজিক মাধ্যমদুটোকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে দিতে’। এই দলিলটি অবশ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। টুইটারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কথা বলার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
ফেসবুক মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে মানুষের সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে, যাতে তারা পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে’। ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান।
যে কারণে সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভ
বিবিসির বার্মিজ বিভাগের নেইয়েন চ্যান বলছেন, সেনা অভ্যুত্থানের প্রথম ধাক্কাটা মানুষের কাছ দুর্বিসহ ছিল। কিন্তু মানুষ এখন বুঝতে পারছে, কী হয়েছে এবং তারা এখন একটা বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
সেনা কর্তৃপক্ষ যতটা শক্ত করে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক সেভাবেই তাদের বিরুদ্ধে আরো মানুষ বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে। বিবিসির ওই সংবাদদাতা বলছেন, এখানকার মানুষ খুব ভালোভাবেই জানে যে সেনাবাহিনী ধরপাকড় চালাতে পারে।
তাই এখনো পর্যন্ত রাস্তায় নেমে বড় ধরনের বিক্ষোভ কেউ করেনি। কিন্তু তাদের কথা যাতে মানুষ জানতে পারে সেই কারণে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যে শিক্ষক শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন তিনি বলছেন এটা তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমার ১৮ মাসের একটা সন্তান আছে। আমি সেনা শাসন ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বেড়ে উঠেছি। আমি প্রার্থনা করি আমার ছেলে একদম ভিন্ন রকম এক বার্মাতে বেড়ে উঠুক। এখন আমি নিশ্চিত না ভবিষ্যৎ কেমন হবে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়েছে। যেটা সেনা অভ্যুত্থানের পর বড় আকারে হওয়া রাস্তার কোনো বিক্ষোভ।
কিছু শহর যেমন ইয়াগুনেরর বাসিন্দারা বাড়িতে রাতের বেলা বিক্ষোভে শামিল হয়েছে, তারা থালা-বাসন বাজিয়ে এবং বিপ্লবী গান গেয়ে তারা এটা করেছে। এছাড়া দিনের বেলা ফ্ল্যাশমব হয়েছে।
বিবিসি বার্মিজের সঙ্গে এক টেলিফোন কথোপকথনে ৭৯ বছর বয়সী এনএলডি পার্টির জ্যেষ্ঠ সমর্থক উইন থিয়েন জানিয়েছেন, তাকে রাজধানী নেইপিদোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক করা হয়েছে। যার শান্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যদিও তিনি জানেন না তার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ। তিনি বলেন, আমি যা বলছি সেটা তারা পছন্দ করছে না, আমি যা বলছি এতে তারা ভীত হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment