শতাব্দীর জীবন বিনাশী ঘাতক করোনাভাইরাসে বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখম আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশি। সেখানে এখন পর্যন্ত ৮৩,৫০০ জনেরও বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে চীন (৮১,৭২৮ জন) এবং ইতালিকে (৮০,৫৮৯) ছাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা এই দুই দেশের তুলনায় কম। যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১২০০ জন।
যেখানে চীনে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,২৯১ জনের এবং ও ইতালিতে মারা গেছেন ৮,২১৫ জন।
বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক হারে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান যে দেশটির ৫০টি রাজ্যেই এখন করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সারাদেশে ৫ লাখ ৫২ হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।
চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বেইজিংয়ের প্রকাশিত তথ্য সম্পর্কে সন্দেহও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আপনি সঠিকভাবে জানেন না চীনে আসল সংখ্যাটা কত।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ বিষয়ে শি জিনপিং’এর সাথে ফোনে কথা বলবেন।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যকেই লকডাউন করা হয়েছে এবং বেশকিছু রাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইস্টার সানডে’র দিন, ১২ই এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
শুরুতে সমালোচিত হলেও এখন ঐ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হোক, তাই চাইছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার জানা যায় যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ৩৩ লাখ অ্যামেরিকান নাগরিক চাকরি হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “তাদের (অ্যামেরিকানদের) কাজে ফিরে যেতে হবে, আমাদের দেশকে কাজে ফিরতে হবে।”
“ফিরে যেতে হবে বললে অনেকেই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন। কাজে ফিরলেও তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলবেন।”
তিনি জানান আগামী সপ্তাহে এই পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তিনি। সূত্রঃবিবিস