কেটে গিয়েছে এক মাস। কিন্তু এখনও পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত চীনা সেনাদের অন্ত্যষ্টি করেনি বেইজিং! মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে এই ‘তথ্য’ জানানো হয়েছে।
নিহত চীনা সেনাদের অন্ত্যেষ্টি সংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠান না-করার জন্য সরকারি তরফে তাদের পরিজনদের চাপ দেওয়া হচ্ছে।
১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে অন্তত ৩৪ জন চীনা সেনার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার-সহ ‘কিছু সেনার মৃত্যু’র খবর মেনে নিলেও বেইজিংয়ের তরফে নিহতদের সংখ্যা জানানো হয়নি এখনও।
এই পরিস্থিতিতে সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে শি জিনপিং সরকারের সমালোচনাও হয়েছে। কত জন সেনা নিহত, তাদের দেহ কোথায় রয়েছে, শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে কি না, সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বিশেষত বিদেশে বসবাসকারী চীনা নেটিজেনদের একাংশ সরাসরি শাসক কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকারের কর্ণধাদের উদ্দেশে করে বলছেন, ‘‘কীভাবে শহীদদের সম্মান করতে হয়, তা ভারতকে দেখে শিখুন।
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) দ্বিতীয় পর্যায়ে সেনা পেছানো (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং সেনা সমাবেশ কমানোর (ডিএসক্যালেশন) বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার সকালে লাদাখের চুসুলে শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক। এই বৈঠকে ডেপসাং এলাকা ও প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত চীনা সেনার প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সেনা সূত্রের খবর।
ভারতের তরফে সংঘর্ষের পরেই ২০ সেনার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা এবং ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আলোচনায়।
মার্কিন রিপোর্টে দাবি, পুরো ঘটনাপর্ব আড়াল করতেই একদলীয় চীনা সরকারের এই তৎপরতা।
এর আগে ২২ এবং ৩০ জুনের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চীনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইর ভিডিও কনফারেন্সের পরে প্রথম পর্যায়ে গালওয়ান উপত্যকা, গোগরা এবং হট স্প্রিং এলাকায় ‘চোখে-চোখ’ অবস্থান থেকে দুই বাহিনী কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।