কখনও সামরিক বৈঠক, কখনও কূটনৈতি। এরই মাঝে নতুন চাল দিতে শুরু করেছে চীন। নতুন খেলায় নামেই বৈঠক করছে বেইজিং। আদপে কিন্তু চীনা সেনা যে অবস্থানে ছিল, সেখানেই রয়েছে।
বরাবরই প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে ভারত। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি চীন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখকে কেন্দ্র করে যে সংঘাত শুরু হয়েছে, তার রেশ টেনে নিয়ে যাচ্ছে চীন ইচ্ছাকৃতভাবে।
ভারতকে বিভিন্ন বৈঠকের নামে ব্যস্ত রাখা, অন্যদিকে সুকৌশলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সাজিয়ে যাওয়া।
একের পর এক এলাকায় সেনা সাজাচ্ছে চীন। এই অবস্থায় ক্রমশ উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। এই অবস্থায় চরম হুঁশিয়ারি দেশের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের।
চীনের মোকাবিলায় সামরিক কায়দায় জবাব দেওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। তবে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভারতে অংশ থেকে এখনও সরেনি চীনের বাহিনী। দফায় দফায় চলছে আলোচনা। কিন্তু সেই আলোচনা চললেও লাগাতার মিলিটারি বিল্ডআপ চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। আর তাতেই ক্ষুব্ধ ভারত।
আর সেই সমাধানের রাস্তা বন্ধ হলেই সামরিক রাস্তায় এগনোর কথা ভারত ভাববে বলেও জানিয়েছেন দেশের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস)। গত কয়েকমাস ধরে লাগাতার উস্কানি চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর শাখাগুলো সব সময়ই সামরিক অভিযানের জন্য তৈরি থাকে যদি না প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতাবস্থা ফেরানোর যাবতীয় প্রয়াস সফল হয়।
লাদাখে স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সমস্ত পন্থাই খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তিনি।