পশ্চিম চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর গত এক দশক ধরে অবর্ণনীয় অত্যাচার চালাচ্ছে চীন সরকার। চীনের সেনা ও পুলিশ উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার এবং ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকু কেড়ে নিয়েছে।
ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারটুকুও নেই। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে চীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রবাসী উইঘুর মুসলিমদের দুটি আন্তর্জাতিক সংগঠন।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে সদস্য নয় চীন। কাজেই চীনের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি হবে একতরফা। কারণ চীন যেহেতু সদস্যই নয়, তাই চীন সেখানে কোনও আইনজীবীই পাঠাবে না।
ফলে এই একতরফা শুনানিকে আদৌ কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বেইজিং। তাতে অবশ্য দমে যাবার পাত্র নয় উইঘুররা।
তারা চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে নানা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। তাদের দাবি, ঠাণ্ডা মাথায় লাগাতার গণহত্যা চালাচ্ছে চীনের সেনা ও পুলিশ। লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলিম নিহত বা নিখোঁজ। এর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে জিনজিয়াং প্রদেশে তদন্তকারী দল পাঠাক রাষ্ট্রসংঘ বা আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত।
উইঘুরদের দু’টি সংগঠন, ‘প্রবাসী ইস্ট তুর্কিস্তান সরকার’ এবং ‘ইস্ট তুর্কিস্তান ন্যাশনাল অ্যাওয়াকেনিং মুভমেন্ট’ চীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তারা বলেছে কম্বোডিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান এই তিন দেশে উইঘুরদের উপর গত চার দশক ধরে অত্যাচার করে গণহত্যা চালিয়েছে চীনের সেনা।
তাদের আরও অভিযোগ, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত রায় দিয়েছিল, তাদের সদস্য কোনও দেশের উপর তাদের সদস্য নয় এমন কোনও দেশ (চীন) যদি অত্যাচার চালায় তাহলে ‘সদস্য নয়’ দেশটিতেও তদন্তকারী দল পাঠানোর এক্তিয়ার রয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের।