সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবিলম্বে টেকসই, অপরিবর্তনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ভূখণ্ড যাতে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার না করা হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে দুই দেশের পক্ষ থেকে।
আর ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা এবং ২০১৬ সালের পাঠানকোটে হামলার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্যও বলা হয় বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।
ভারত বলেছে, পুলওয়ামায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার দায়িত্বে নিযুক্ত জয়শ-ই-মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
আর অভিযুক্ত মাসুদ আজহারকে আশ্রয় দিচ্ছে দেশটি। জঙ্গি নেতাদের এখনো আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের তীব্র নিন্দাও করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এই চার্জশিটে দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ওই নাশকতার ঘটনার মূল যড়যন্ত্রকারী মাসুদ আজহারসহ পাকিস্তানের মোট ১৯টি জঙ্গি নেতার নাম রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তার পর দেড় বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শুধু নোটিশ জারি করা বা বিবৃতি দেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। ভয়ানক এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে যারা জড়িয়ে রয়েছে, তাদের কঠিন শাস্তি দিয়ে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে।
জয়শ-ই-মোহাম্মদ পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকার করেছে। ওই সংগঠন ও তার নেতারা বর্তমানে পাকিস্তানে সক্রিয়ও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানকে অনেক প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান এখনো কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই ঘটনায় ২৫ বিদেশি নাগরিকসহ ১৬৫ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।