জেরুজালেমে চেক প্রজতান্ত্রের কূটনৈতিক অফিস খোলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিও) ও আরব লিগ। এক বিবৃতিতে চেক প্রজতান্ত্রের রাজধানী প্রাগের এমন সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) চেক প্রজাতন্ত্র তেলআবিবে অবস্থিত দূতাবাসের শাখা অফিস হিসেবে জেরুজালেমে একটি কূটনৈতিক মিশন খোলে।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস অফিস উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন।
এর দুই সপ্তাহ আগে ‘টিকার কূটনীতি’র অংশ হিসেবে ইসরায়েল মডার্নার তৈরি পাঁচ হাজার করোনা টিকা পাঠিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়।
শনিবার এক বিবৃতিতে প্রাগের সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনের জনগণ ও তাদের অধিকারের ওপর নির্লজ্জ হামলা বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও শান্তিপ্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গিত এক বিবৃতিতে জানান, এক দেশের কূটনৈতিক শাখা অফিস খোলার মাধ্যমে জেরুজালেমের আইনি ন্যায্যতা বিনষ্ট হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পূর্ব জেরুজালেম একটি অধিকৃত অঞ্চল।
এদিকে চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেরুজালেমের শাখা অফিসটি কোনো দূতাবাস নয়। ইসরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার হবে এবং চেক নাগরিকদের উন্নত সেবা প্রদান করা হবে।
চেক প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সঙ্গে জেরুজালেমে অফিস প্রতিষ্ঠার কোনো সম্পর্ক নেই।
গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভোর কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ইউরোপের দেশটি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।