ট্রাম্পের রোষানলে চিকিৎসা উপদেষ্টা বিরক্স

করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষানলে পড়েছেন হোয়াইট হাউস করোনা টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ক ডেবোরাহ বিরক্স। সোমবার টুইটার পোস্টে তিনি এ উপদেষ্টার সমালোচনা করেছেন। ‘যুক্তরাষ্ট্র করোনাবিরোধী যুদ্ধের নতুন পর্বে প্রবেশ করছে’ উল্লেখ করে বিরক্স যে উদ্বেগ জানিয়েছেন তাকে ‘দুঃখজনক’ বলেছেন ট্রাম্প।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার প্রশাসন খুব ভালোভাবে কাজ করছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

হোয়াইট হাউসের করোনাবিরোধী টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য ডেবোরাহ বিরক্স। বলেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধের নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশজুড়ে অত্যন্ত অস্বাভাবিকরকমে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস।

প্রকোপ দেখা দেওয়ার শুরুর দিকের সময়ের চেয়ে এটি এখন আরও অনেক বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বড় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রাম এলাকাতেও এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে বিরক্স বলেন, ‘আপনারা যারা গ্রাম এলাকায় বসবাস করছেন তারাও এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত নন। একে প্রতিরোধ করার মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আপনাদের শরীরেও নেই। এ মুহূর্তে এ মহামারির চিত্রটা ভিন্ন। গ্রাম ও শহর দুই জায়গাতেই এখন এর বিস্তার ঘটছে।

ন্যান্সি পেলোসি ডা. ডেবোরাহ বিরক্স সম্পর্কে ভয়াবহ কথা বলেছিলেন। কারণ ভ্যাকসিন ও থেরাপিসহ চীনা ভাইরাস (করোনাভাইরাস) এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের ভূমিকার ব্যাপারে তিনি খুব ইতিবাচক ছিলেন। ন্যান্সির বিরুদ্ধে পাল্টা অবস্থান নিতে গিয়ে ডেবোরাহ আমাদেরকে আঘাত করেছে। এটা দুঃখজনক।

পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক আভাস দেওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্যের শিকার হয়েছেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফাউচি। তবে বিরক্সকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের ঘটনা এটাই প্রথম।

আমি মনে করি আমরা খুব ভালো কাজ করছি। অন্য দেশগুলোর মতোই আমরা ভূমিকা পালন করছি। আমি বিরক্সকে বলেছি যে আমরা ভালো করঠি বলেই মনে হচ্ছে। তিনি আমার অফিসে যোগ দিয়েছেন বেশিদিন হয়নি। তিনি এমন এক মানুষ যাকে আমি খুব সম্মান করি। আমি মনে করি ন্যান্সি পেলোসি তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। আমি মূলত বলতে চাচ্ছি যে আমরা যে ভালো কাজ করছি তা তাদের স্বীকার করা উচিত।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭২ জনের। সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে অন্ততপক্ষে দেড় লাখেরও বেশি।