তিন বছরে বাংলাদেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিবিরে এক লাখ আট হাজার ৩৭ জন রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে।
নতুন এত শিশুর খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
সেনাদের নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা। ইউএনএইচসিআরের তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের মে মাস পর্যন্ত কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে শিশুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯৭১ জন, যা মোট রোহিঙ্গার ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে আসার পর তাদের জন্ম হয়েছে।
রুনার জন্ম হয়েছে যখন তার মা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছিলেন। মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে রুনা। রুনার মা হামিদা সেভ দ্য চিলড্রেনকে বলেন, আমি আমার শিশুর শিক্ষা, ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান।
অর্থাভাবে আমি তার কোনো স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি না। ভালো খাবার, যখন যা প্রয়োজন কিছুই দিতে পারি না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সাত বছরের নিচে শিশুর সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৬৬। তারা ২১টি ক্যাম্পে রয়েছে। এই সংখ্যা মোট রোহিঙ্গার ২৫ শতাংশ।
তিন বছরে ৭৫ হাজারের বেশি শিশুর জন্ম হয়েছে রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে। কিন্তু তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছে না পরিবার। ৩০ হাজারের বেশি শিশু সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
বিশ্বনেতারা, বিশেষত যাঁদের মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা এই সংকটের দ্রুত সমাধানের আশা জানিয়েছেন। বাচ্চাদের শৈশবকে বন্দিদশায় কাটিয়ে দেওয়া উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন তারা।