দক্ষিণ কোরিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেইসাক আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দুই হাজারের বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হেনেছে। এই ঘূর্ণিঝড়কে টাইপ তিন ক্যাটাগরি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন স্থানে গাছ-পালা উপড়ে গেছে, ট্রাফিক লাইট ভেঙে গেছে, রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বুসান এলাকায় দুর্ঘটনায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, দুর্ঘটনায় ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ আহত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চল এবং জেজু দ্বীপ থেকে ২ হাজার ২শ জনের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বা ৮৭ মাইল। দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ধীরে ধীরে কমে যাবে।
এদিকে, এই ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তীতে উত্তর কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় হেমজিয়ং প্রদেশের কিমচায়েকে আঘাত হানবে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।
পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, তারা ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পুরো পরিস্থিতি লাইভ প্রচার করা হচ্ছে।
কোরীয় দ্বীপে গত সপ্তাহেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। সে সময় ঘূর্ণিঝড় বেভি আঘাত হানার পর একটি কৃষি এলাকা পরিদর্শন করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
তবে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে জানান যে, আশঙ্কার চেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।