চীনের সঙ্গে চলা সামরিক অস্থিরতার মধ্যেই নিজেদের শক্তি দেখাল তাইওয়ান। তাইওয়ানের সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনী মহড়া দিয়ে তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। দেশটিতে যেকোনো ধরনের আক্রমণ হলে প্রত্যুত্তর দেওয়া জন্যই এই মহড়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাইওয়ান নৌবাহিনীও সামরিক মহড়ার সময় দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং মেশিনগান নিয়ে সামরিক মহড়া চালায়।
এই সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল আট হাজার সেনা সদস্য। এ ছাড়া ছিল বিমান বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং দেশীয় ফাইটার জেট চিং-কুও। মধ্য তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ট্যাঙ্কও। মনে করা হচ্ছে, চীনকে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে সচেতন করতেই এই মহড়া চালিয়েছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন জানান, চীনকে তারা বলতে চান, যে তারা দুর্বল নন। নিজেদের জমিতে চীনা অনুপ্রবেশ রুখতে তাইওয়ান যে সক্ষম তা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, যদি চীন কোনো অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করে তবে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে তাদের।
বছরের শুরুতে তাইওয়ানে ক্ষমতায় আসে সাই ইং ওয়েন। তিনি ক্ষমতায় আসার পরেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি কখনই চীনের কাছে মাথা নত করবেন না। এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতেও বাজেট বাড়িয়েছে তাইওয়ান। বর্তমানে তাইওয়ান আর্মির কাছে আমেরিকান অস্ত্র রয়েছে। মার্কিন সেনারা তাইওয়ানীয় সৈন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেয়। যদিও চীনের কাছে প্রচুর অস্ত্র ও সেনা রয়েছে, তবে তাতে কখনই চীনকে ভয় পায়নি তাইওয়ান।
চীন দাবি করছে তাইওয়ানের কয়েকটি দ্বীপপুঞ্জ তার ভূখণ্ডের আওতায় পড়ে। তবে তাইওয়ান তাদের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দ্বীপপুঞ্জগুলো তাদেরই।