চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় স্কুলের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর কাই শিয়া বলেছেন, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ‘দেশকে শেষ করে দিচ্ছেন।
তাই নিজের দলের ভিতরেই তিনি ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েছেন।
কমিউনিস্ট পার্টির ওই স্কুলে গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন কাই। নিজ দলের নেতাদের দোষ-ত্রুটি রাখঢাক না রেখেই বলেন এই মহিলা।
সমালোচনা করে তার মন্তব্যের একটি অডিও রেকর্ড গত জুনে ফাঁস হওয়ার পর তাকে পার্টি বহিষ্কার করে।এর পর থেকে তিনি আর চীনে থাকেন না।
কাই শিয়া বলেন, তিনি ২০১৬ থেকেই চাইছিলেন পার্টি ছাড়তে। বহিষ্কার করায় তিনি খুশিই হয়েছেন।
শি জিন পিং অবাধ ক্ষমতা ভোগ করছেন। বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নেন তিনি; এর ফলে বড় বড় ভুল হয়ে যাচ্ছে। এই যেমন কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি কর্তৃপক্ষ জানায় যে, এ ভাইরাস ছোঁয়াচে। অথচ, পলিটব্যুরোর সঙ্গে শির ৭ জানুয়ারি যে বৈঠক হয় যেখানে তাকে ‘ছেয়াচে’ ব্যাপারটি জানানো হয়েছে। কিন্তু দুই সপ্তাহ পরে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছিল।
কাই বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন শি। এর ফলে সিস্টেমটা দাঁড়িয়েছে, তার কাছে সংবাদ গোপন করে রাখা হয়। ৭ জানুয়ারি প্রকৃত অবস্থা জানার পরও প্রতিকারের ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য কেন তাকে দায়ী করা হবে না? শুধু কাই নন।
শির সমালোচনা করায় বেইজিংয়ের জিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক জু ঝাং রুনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান রেন ঝিকিয়াংকে পার্টি বহিষ্কার করেছে। তার অপরাধ- তিনি বলেছিলেন, শি তো একটা ক্লাউন।