জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য আমেরিকা স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম ব্যবহারের যে চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেহরান।
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হলে দেশটি এর বিরুদ্ধে তীব্র ও তীক্ষ্ণ পদক্ষেপ নেবে।
ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখতে রাভানচি শনিবার মার্কিন থিংক ট্রাঙ্ক ওয়েপন্স কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন্স’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আমেরিকা ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে এখন দেশটি স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম ব্যবহারের যে চেষ্টা করছে তা একটি হাস্যকর বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের উচিত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব ভালো করে পড়ে দেখা। কারণ, ইরানের পরমাণু সমঝোতার সঙ্গে এই প্রস্তাবের কোনও পার্থক্য নেই বরং এই প্রস্তাবের মাধ্যমেই পরমাণু সমঝোতাকে আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত করা হয়েছে।
মাইক পম্পেও যখন ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজম প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছেন তখন ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি এসব কথা বললেন।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৩টি দেশই শনিবার পম্পেওর এ প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেছে।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় স্ন্যাপব্যাক ম্যাকানিজমের কথা বলা হয়েছে।
একই বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবেও এই ম্যাকানিজম সংযুক্ত করা হয়।
ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী যেকোনও দেশ যদি মনে করে তেহরান এটি মেনে চলছে না তাহলে ওই দেশ ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সবগুলো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আবেদন জানাতে পারবে এবং নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এটি আটকানো যাবে না।