ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দুইদিন আগে জানিয়েছেন যে, ন্যাটো সম্পর্কে তিনি একেবারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি অনেকটা দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছেন যে, ন্যাটো জোটের দেশগুলো এখনো পর্যন্ত ইউক্রনকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। জোটটি নিজেদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে এবং তারা রাশিয়ার সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে জড়াতে ভয় পায়।
এর আগে গুঞ্জন উঠে যে, রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় ন্যাটো জোটভুক্ত পূর্ব ইউরোপের তিনটি দেশ মিলে ইউক্রেনকে ৭০টি যুদ্ধবিমান দিবে। তবে বাস্তবে সরাসরি ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে রাশিয়ার সাথে আগ বাড়িয়ে ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছে না ইউরোপের কোন দেশই। তাছাড়া পোল্যান্ড তাদের বিমান বহরে থাকা ২৩টি মিগ-২৯ ইউক্রেনকে দিতে কিছুটা রাজি হলেও এর বিনিময়ে সম সংখ্যক এফ-১৬ ফ্যালকন যুদ্ধবিমান দাবি করে বসে আছে। আসলে এই বিষয়টি নিয়ে ইউক্রেন কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বড় ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে।
এদিকে অবশ্য ইউক্রেনের পরীক্ষিত বন্ধুদেশ তুরস্ক নতুন করে আরো অধিক পরিমাণে টিবি-২ কমব্যাট ড্রোন সরবরাহ করেছে ইউক্রেনে। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। তাছাড়া তুরস্কের রকেটসান কোম্পানির তৈরি মিসাইল এবং অজানা সংখ্যক ম্যানপ্যাড পোর্টেবল সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করেছে ইউক্রেন।
তুরস্ক নিজস্ব প্রযুক্তিতে কমব্যাট এন্ড নন কমব্যাট ড্রোন এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন রেঞ্জের মিসাইল তৈরি করলেও এর সকল ইঞ্জিন আসে কিন্তু সরাসরি ইউক্রেন থেকে। তাই রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের পতন হলে তুরস্কের ডিফেন্স রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিজ সেক্টর বেশ বড় ধরনের বিপর্যের মুখে পড়ে যেতে পারে।
এদিকে ইউক্রেনকে রক্ষার নামে পোল্যান্ডে ন্যাটো জোটের অধীনে আমেরিকা দুই ব্যাটারি অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মোতায়েনের করেছে। এখন দেখার বিষয় আমেরিকা ন্যাটো জোটের অন্যান্য সদস্য দেশের কাছে পরোক্ষভাবে বা গোপনে এর ভাড়া বা চাঁদা আবার না চেয়ে বসে।
এর আগে অবশ্য ট্রাম প্রশাসনের আমলে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বেচ্ছায় থার্ড এয়ার ডিফেন্স মোতায়েন করে তার জন্য সিউল সরকারেরর কাছে এক বিলিয়ন ডলার বার্ষিক ভাড়া এবং উন্নয়ন ব্যয় হিসেবে দাবি করে বসে। অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকার এহেন চাঁদাবাজির অর্থ দিতে সরাসরি অস্বীকার করে।