২০১৬ সাল থেকে চীন-পাকিস্তান করিডোর (সিপিইসি) এবং সিপিইসি কর্তৃপক্ষকে দেশটির কাঠামোগত ও বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাপ দিয়ে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনের ওই প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পাকিস্তানের নেওয়াজ শরিফ সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে তা আবারো গ্রহণ করেছে ইমরান খান সরকার।
এশিয়া টাইমসের এ প্রতিবেদনে আলি সালমান আন্দানি পাক সরকার প্রধান ইমরান খানকে সামরিক শাসনের পুতুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাক পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে নিয়ন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি এর চাহিদা পুরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সফল হয়েছে।
আমি পাকিস্তানের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচনা করি। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিনিয়র আমলারা সুস্পষ্টভাবে শি’র ড্রেকোনিয়ান সিপিইসি স্কিমটি যাচাই বাছাই এবং প্রতিহত করতে পারেন। কারণ তারা চুক্তির সমস্ত গোপন নথিতে অনুমতি পেয়েছে এবং এ চুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
যতক্ষণ পর্যন্ত বেসামরিক সংস্থাগুলোর কর্মচারীদের ওপর শি নিয়ন্ত্রণের একটা মাত্রা ছিল ততদিন পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব ছিল।