ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বশেষ সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে বাহরাইন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইসরায়েল যৌথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খালিফার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বলার পর চুক্তি হলো।
ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এই চুক্তিটি ঐতিহাসিক।
মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর চতুর্থ আরবদেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করল বাহরাইন। এ চুক্তির ব্যাপারে বিভিন্ন দেশ নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইনের চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ছুরিকাঘাতের সঙ্গেও এই চুক্তির তুলনা করা হয়েছে।
ইসরায়েল ও বাহরাইন সম্পর্ক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সহযোগিতায় এবং বিশ্বব্যাপী এই চুক্তির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে আমিরাত।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ইসরায়েল ও বাহরাইন যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে।
তবে ইরান মনে করে, এই চুক্তির ফলে ইসরায়েলের অপরাধের অংশীদার হয়ে গেল বাহরাইন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে এই অঞ্চল ও ইসলামের জন্য অবিরাম হুমকি হিসেবে ইহুদিদের অপরাধের অংশীদার হবে বাহরাইনের শাসকরা।
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে বাহরাইনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনিরা এই সিদ্ধান্তের জেরে নতুন আঘাতের মুখোমুখি হবে।