প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি গত ১০ বছরে ১৫২টি দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি প্রয়োগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর ফলে ২৭টি দেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের একটি প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এখনো চীনের দমনমূলক কূটনৈতিক নীতির শিকার হচ্ছে। প্রতিবেদনে চীনের দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি প্রয়োগের কৌশলকে আটভাগে ভাগ করেছে।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি প্রয়োগের জন্য বিদেশি নাগরিকদের নির্বিচারে আটক করে। এদের মধ্যে কারো কারো আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে চীন।
চীনের দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি প্রয়োগের দ্বিতীয় কৌশলটি হলো কর্মকর্তাদের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করে দেওয়া। এর ফলে বিদেশি কর্মকর্তারা চীনে প্রবেশ করতে পারেন না। আবার চীনের কর্মকর্তারাও বিদেশ সফরে যেতে পারেন না।
ফলে বিভিন্ন দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে চীনের। চীনের তৃতীয় কৌশলটি হলো, বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ করে দেওয়া। দমন নীতি প্রয়োগের জন্য চীন প্রায়ই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে। এছাড়া চীনের সরাসরি বিনিয়োগ , অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ এবং যৌথ বিনিয়োগের খাতগুলোতেও সীমাবদ্ধতা তৈরি করে চীন। চীনের চতুর্থ কৌশলটি হলো বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা তৈরি করে বিভিন্ন দেশের ওপর দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি প্রয়োগ করা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এ পর্যন্ত নিজেদের দমনমূলক নীতি প্রয়োগের কারনে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমদানি এবং রফতানিতে সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছে বলে জানা গেছে।
চীনের দমনমূলক কূটনৈতিক নীতির ষষ্ঠ কৌশলটি হলো দেশটি বিদেশিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সরাসরি আইনী বা নিয়ন্ত্রণমূলক হস্তক্ষেপ আরোপ না করে জাতীয়তাবাদের নামে ওই সব দেশের জনপ্রিয় পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারণা চালায়।
পঞ্চমত পর্যটন বিধিনিষেধ আরো করেও নিজেদের দমনমূলক কূটনৈতিক নীতি বিভিন্ন দেশের ওপর প্রয়োগ করে চীন। এছাড়া সপ্তম কৌশলে বলা হয়েছে যে চীন যে সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে তাদের বিভিন্ন কোম্পানির ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এখন পর্যন্ত অনেক বিদেশি কোম্পানি চীনের সরকারের এই নীতির শিকার হয়েছে। চীনের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কথা বলে অনেক বিদেশি কোম্পানি হেনস্তা করেছে চীন সরকার।
সর্বশেষ এবং অষ্টম কৌশলটি হলো চীন নিজেদের দূতাবাস এবং সরকারি মন্ত্রণালয় ব্যবহার করে দমমূলক নীতি প্রয়োগ করে। চীনের এই দমনমূলক নীতির সবচেয়ে বেশি শিকার হইয়েছে উত্তর আমেরিকা,
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। এছাড়া আফ্রিকা দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এশিয়ার আরো কিছু দেশও চীনে এই দমনমূলক কূটনৈতিক নীতির শিকার হয়েছে ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment