জম্মু-কাশ্মীরের চিনাব নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলসেতু। নির্মাণাধীন সেতুটি আগামী বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। রবিবার দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সেতুটি নির্মিত হলে ২০২২ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো ট্রেনযোগে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকার যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
সেতুটিতে কেন্দ্রীয় স্প্যান রয়েছে ৪৬৭ মিটারের, যা চিনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হচ্ছে। দিল্লির বিখ্যাত কুতুব মিনারের উচ্চতা ৭২ মিটার এবং প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার (৩২৪ মিটার) চেয়েও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু কাশ্মীরের এই সেতু।
এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু এবং সেতুতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬৬ কিলোমিটার নকশা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ গত এক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ত্বরান্বিত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে ভারতের অনান্য অংশের ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ লক্ষ্যে উধমাপুর-কাটরা (২৫ কিলোমিটার), বানিহাল-কাজিগুন্দ (১৮ কিলোমিটার) এবং কাজিগুন্দ-বারামুল্লা (১১৮ কিলোমিটার) সেকশনকে সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
অবশিষ্ট ১১১ কিলোমিটারের কাটরা-বানিহাল সেকশনের কাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতুটির কাটরা-বানিহাল সেকশনের ১৭৪ কিলোমিটার টানেলের মধ্যে ১২৬ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে।
এই সেতু স্টিল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও যাতে সেতুটি ঠিক থাকতে পারে সেজন্য স্টিল সেতু তৈরি হচ্ছে। ট্রেন ও যাত্রীদের ওপর নজর রাখতে অনলাইন মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা থাকবে সেতুতে। এছাড়া সেতুর সঙ্গে থাকবে ফুটপাথ ও সাইকেল চালানোর রাস্তা।
২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ৮০ হাজার ৬৮ কোটি রুপির প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্যাকেজের অংশ হিসেবে কাশ্মীরের চিনাব নদীর ওপর বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতুটির নির্মাণযজ্ঞ চলছে।