শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারী বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ। মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন আড়াই লাখের মতো মানুষ।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হালনাগাদ পরিসংখ্যানে আজ ৫ এপ্রিল রবিবার ভোর পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০৫ জন। মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৬০৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৫২ জন।
হু হু করে বাড়ছে রোগী ও মৃতের সংখ্যা। বিশ্বের অন্তত ১৩১টি দেশে চলছে লকডাউন। এতে দেশগুলোর অর্ধেকের বেশি মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকার। বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে এ দুই মহাদেশে।বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ শতাধিক সেনাসদস্য। চীনে দ্বিতীয় দফায় করোনা ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তুরস্কে ২০ বছরের কম বয়সীদের জন্য কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের।
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৯ ঘটিকা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ইতালিতে- ১৫ হাজার ৩৬২ জন। এর পরই আছে স্পেন। দেশটিতে মারা গেছেন ১১ হাজার ৭৪৪ জন। ইতালি ও স্পেনের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ১৭১ জন।
মৃতের সংখ্যায় এরপর যথাক্রমে রয়েছে- ফ্রান্সে ৭ হাজার ৫৬০ জন, যুক্তরাজ্যে ৪ হাজার ৩১৩ জন, ইরানে ৩ হাজার ৪৫২ জন, চীনে ৩ হাজার ৩২৬ জন।
জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ১ হাজার ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনো দেশ একদিনে এত মৃত্যু দেখিনি। দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউইয়র্ক শহরের। মোট মৃত্যুর ১ তৃতীয়াংশ এ শহরেরই।
শুক্রবার নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেন, আমাদের আরও খারাপ অবস্থা মোকাবেলার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তিনি সরকারের কাছে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য অনুরোধ জানান। ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে মারা গেছেন যথাক্রমে- ফ্রান্সে ১১২০, স্পেনে ৮৫০, ইতালিতে ৭৬৬, যুক্তরাজ্যে ৬৮৪ ও ইরানে ১৫৮ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ১ হাজার ১৪৭ জন। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- স্পেনে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৬, ইতালি ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২, জার্মানি ৯১ হাজার ১৫৯, ফ্রান্স ৮৯ হাজার ৯৫৩, চীন ৮১ হাজার ৬৩৯ ও ইরানে ৫৫ হাজার ৭৪৩ জন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এ রোগের সংক্রমণ বিষয়ে আগে যা ভাবতাম তার বদল ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো লক্ষণ ছাড়াই অনেকে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাই মাস্ক পরাই ভালো কাজ।’
তবে একই সঙ্গে মাস্ক পরার প্রতি নিজের অনীহার কথাও জানান তিনি। ট্রাম্পের যুক্তি, ‘অফিসে বসে মাস্ক পরে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। তাই আমি এটা পালন করতে রাজি নই।’ মাস্কের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে বাজারে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এজন্য মাস্ক না পেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘কাপড়ের ঘনত্বের বিচারে স্কার্ফ মাস্কের ভালো বিকল্প।’ ফ্রান্সের ছয় শতাধিক সেনা সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও বিস্তার লাভ করছে এবং আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমাদের সামরিক বাহিনীর কার্যক্রমে এতে কোনো প্রভাব পড়েনি। ভারতের মুম্বাইয়ে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিতে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর পর দেশটির শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন। করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে মৃতের দিক দিয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে দেশটি।
দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে চীনকে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, দেশটি প্রথম ধাক্কা সামলে উঠলেও এখন আবার সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। এছাড়া হংকং, সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে প্রথম দিকে সংক্রমণ ততটা না ছড়ালেও এখন বাড়ছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ইরানের। দেশটিতে তিন সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ৫৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দেশটির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
ইউরোপে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের ৯৫ শতাংশের বয়স ষাটের বেশি। তাই বলে তরুণ প্রজন্মও বিপদমুক্ত নয়, কারণ করোনা বয়স দেখে হচ্ছে না। এমন তথ্য দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হান্স ক্লুজ।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে এক অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে ক্লুজ বলেন, করোনা শুধু বয়স্ক মানুষদের আক্রমণ করছে বলে যা ভাবা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এ রোগ থেকে তরুণরাও নিরাপদ নন। ১০ থেকে ৫০ শতাংশ ৫০ অনূর্ধ্ব মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ১৩-১৯ বছর বয়সের মধ্যে বা যাদের বয়স ২০ বছরের মধ্যে, তাদেরও অনেকে করোনায় গুরুতর অসুস্থ। অনেকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রয়েছেন, কয়েকজনের মৃত্যুও ঘটেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment