নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ না পাওয়া পর্যন্ত ব্রিটেনে সব জায়গায় এখন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ইংল্যান্ডের চীফ মেডিকেল অফিসার ক্রিস হোয়াইটি ডাউনিং স্ট্রীট থেকে দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, করোন ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার ও তা সহজলভ্য হতে অনেক সময় লেগে যাবে। সে পর্যন্ত একমাত্র সামাজিক দূরত্বের মাধ্যমেই এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব।
আমি মনে করি আমাদের বাস্তবধর্মী চিন্তা করা দরকার। সামাজিক পরিমাপগুলোর ওপর ভরসা করতে হবে। প্রতিষেধক না পাওয়া পর্যন্ত এগুলোই আমরা মেনে চলতে পারি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এক একটি দেশে যেভাবে লকডাউন করা হচ্ছে শুধুমাত্র একবার লকডাউনের মাধ্যমেই করোনার প্রকোপ থামানো যাবে না।
এমনকি সামাজিক দূরত্বও হয়তো আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত বজায় রাখা জরুরি বলে মনে করছেন তারা। গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাস হয়তো অন্যান্য কিছু রোগের মতো মৌসুমভিত্তিক হয়ে পড়তে পারে।
অর্থাৎ শীতের দিনগুলোতে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। শীতের মৌসুমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। সে কারণে এককালীন সামাজিক দূরত্ব করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়।.বরং দীর্ঘ সময় ধরেই তা মেনে চলা জরুরি। জনসমাগম কমিয়ে আনা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে সরাসরি করোনায় সংক্রমণের ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে।
সে কারণেই এখন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া এখন কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
এদিকে, ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। প্রথম দফায় ৫১০ জনের ওপর এই পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবী খুঁজছে ব্রিটেন। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি হসপিটাল সাউথাম্পটন লোকজনকে এই গবেষণা কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।