রোহিঙ্গা গণহত্যার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো রাখাইনে স্থানীয়দের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে যাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এদিকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় মিয়ানমারের প্রতি চরম হতাশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতও এখনো অনিশ্চিত।
রাখাইনসহ দেশটিতে সাম্প্রতিক বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হত্যা নির্যাতন-যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। এদিকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায়ে সামরিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দাবি করে সপক্ষত্যাগী দুই সেনাসদস্যকে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত মিশন দেশটিকে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ও সাধারণ অধিবেশনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানালেও হতাশার ব্যাপার তারা এখনো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থা ও তদন্ত সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অব্যাহতভাবে তাগাদা দিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জেনেভায় সংস্থার মানবাধিকার হাই কমিশনার মিশেলে ব্যাশেলে, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান হত্যানির্যাতনের বিষয়েও কঠোর সতর্কবার্তা দেন।