মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো তিন বিক্ষোভকারী নিহত

সাম্প্রতিক সংবাদ
মোহাম্মদ শিপন
Sponsored

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো তিন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। তিনজনই দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা।

শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাদের। জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দেশটিতে এ নিয়ে অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গেল। গ্রেপ্তারের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।

অং সান সু চিসহ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি ও গণতন্ত্রের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে। বিক্ষোভের রাশ টানতে বল প্রয়োগের মাত্রা ক্রমেই বাড়াচ্ছে জান্তা সরকার। সেখানে দিনের বেলায় বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। আর রাতে চলে ধরপাকড়। তবে সর্বশেষ নিহত তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়েছে রাতে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হওয়া এক ফুটেজে দেখা যায়, ইয়াঙ্গুনের থাকেতা শহরের তিন কিশোরকে সড়কের ওপর ফেলে পুলিশের লোকজন ব্যাপক মারধর করছে।

এরপর টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে তাদের থানার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করা এক ব্যক্তি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তিনজনকে ধরে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ স্টেশনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে গুলি চালায় পুলিশ।

এতে ঘটনাস্থলেই দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে মাথায় গুলি লেগে। আরেকজনের গাল দিয়ে ঢুকে ঘাড় দিয়ে গুলি বের হয়ে গেছে।

গুলিবিদ্ধ দুজনের লাশ দীর্ঘ সময় সড়কে পড়ে ছিল। পুলিশ গুলি থামানোর পর বিক্ষোভকারীরা দুজনের লাশ নিয়ে যায়। দুজনই সু চির নেতৃত্বাধীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সমর্থক ছিল।

তাদের একজনের নাম সি তু (৩৭)। তাঁর স্ত্রী বলেন, সবাই তাঁকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু তিন কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না।

গত শুক্রবার রাতে আরেক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয় লেইং শহরে। সেখানে রাতে টহলে যায় পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। কিন্তু স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেয়। তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালালে এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। নিহত ব্যক্তির নাম অং পেইং উ (১৮)।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় পেইংয়ের। তাঁর ভাই ওয়াই লিন কিয়া বলেন, চিকিৎসকদের খুব বেশি কিছু করার ছিল না। কারণ পেইংয়ের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল।

গত নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপড়েন চলছিল। এর মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। গ্রেপ্তার করা হয় স্টেট কাউন্সেলর সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের।

জারি করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা। সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এক বছর পর নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। তবে সাধারণ মানুষ এই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করছে না।

Sponsored
Leave a Comment

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…

January 6, 2024

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…

November 12, 2023

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…

September 25, 2023
Sponsored