করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জারি করা লকডাউন অমান্য করায় দেশের সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে তারা বাজে উদাহরণ তৈরি করেছেন।’
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেননি উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তারা কী ধরনের ভুল করেছেন।
তবে জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকার পরও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিরাট বড় পার্টির আয়োজন করেন বলে দেশটির একটি সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হয়।
পত্রিকার এই প্রতিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী পাশনিয়ানের পক্ষ থেকে সেনাপ্রধান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের বরখাস্তের ঘোষণা এসেছে বলে জানায় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
সেনাপ্রধানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও সেই অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান আরমান সার্গসিয়ান এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এডওয়ার্ড মারতিরোসিয়ান উপস্থিত ছিলেন কিনা তা উল্লেখ করেনি পত্রিকাটি।
ফেসবুকে তাদের বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পাশনিয়ান বলেন, ‘দেশের এরকম উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যারা নিজেরাই মহামারি বিরোধী নিয়ম-কানুনের প্রতি সম্মান দেখাবেন সেখানে তারাই এর বিপরীত কাজ করছেন।’
দেশটির বরখাস্ত হওয়া সেনাপ্রধান ডেভটিয়ান সোমবার আর্মেনপ্রেস সংবাদ সংস্থাকে জানান, অনুষ্ঠানটি তার ছেলের বিয়ের জন্য ছিল কিন্তু তিনি কোনো নিয়ম ভঙ্গ করেননি। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করিনি। আমি আপনাদের কেবল স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনের অধিকার রয়েছে।’
তবে দেশটির পুলিশ প্রধান সার্গসিয়ান এবং গোয়েন্দা প্রধান মারতিরোসিয়ানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এপ্রিলের শেষের সপ্তাহ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত আর্মেনিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। দেশটিতে বড় বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং জনসাধারণের জায়গায় মুখোশ পরা বাধ্যতামূলক। পুরো পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পাশনিয়ান।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আর্মেনিয়ায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৬৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২১৭ জনের।