মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটকে নতুন রুপ দিচ্ছে তুরস্ক-মিশর। লিবিয়ায় দেশ দুটির পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত সংসদ দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করার জন্য মিসরকে অনুমোদন দিয়েছে। খবর আলজাজিরার
অন্যদিকে যুদ্ধ বিরতির আগেই লিবিয়ার সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটি ত্রিপোলি ভিত্তিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করার শর্ত দিয়েছে তুরস্ক।
সোমবার এক বিবৃতিতে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সংসদ বলেছে, লিবিয়া এবং মিসরের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করার অধিকার মিসরের সামরিক বাহিনীর রয়েছে।
যদি দু’দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে মিসর সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়।
গত মাসে মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসি বলেছেন, লিবিয়ার সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটি হচ্ছে মিসরের জন্য রেড লাইন। সিত্রে শহর এবং যুফরা বিমানঘাঁটির পতনের আশঙ্কা দেখা দিলে তা ঠেকানোর জন্য মিসরের সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেনারেল সিসি।