ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ নিয়ে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে ফের তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ইস্তাম্বুলে বাইজেন্টাইন শাসনামলে বানানো এই স্থাপত্যকর্মটি এক সময় খ্রিস্টানদের চার্চ ছিল। পরে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। বর্তমানে ঐতিহাসিক এই স্থা্পনাটি একটি অসাম্প্রদায়িক স্থাপত্যশৈলী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঐশী ধর্মগুলো বিশেষ করে খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের মধ্যে একমাত্র গ্রিসই তুরস্কের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনায় সম্মুখ ফ্রন্টে অবস্থান করছে। বহু বিষয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। কিন্তু এবার ধারণা করা হচ্ছে গ্রিস সরকার ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ বিতর্ককে টেনে এনে এবং এ ইস্যুতে অভিযোগ উত্থাপন করে তুরস্কের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ ও বিদ্বেষ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে।
তবে হাজিয়া সোফিয়ার ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে এ দু’দেশের মধ্যকার বিতর্ক অবশ্য এবারই প্রথম নয়। বহু দিন ধরে এ নিয়ে বিতর্ক চলে আসলেও নতুন করে তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মনে করা হচ্ছে এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে গ্রিস এবার তুরস্কের সঙ্গে চূড়ান্ত বোঝাপড়া কিংবা এক হাত দেখে নেয়ার চেষ্টা করবে।
হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মূল কারণ হচ্ছে, এটিকে মসজিদ বলা হবে নাকি জাদুঘর বলা হবে তা নিয়ে। কারণ এক সময় এই স্থাপনাটি গীর্জা তথা খ্রিস্টানদের উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত। চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ইউরোপের ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা এক অভিযান চালিয়ে কনস্টান্টিনোপল দখল করে তারা হাজিয়া সোফিয়াকে অর্থডক্স গীর্জা থেকে ক্যাথলিক ক্যাথিড্রালে পরিণত করেছিল। এ নিয়ে খ্রিস্টানদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দখল পাল্টা দখলের ঘটনার পর ১৪৫৩ সালে ওসমানিয় শাসনামলে এটিকে মসজিদে পরিণত করা হয়। এরপর তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক এই মসজিদে নামাজ নিষিদ্ধ করেন এবং হাজিয়া সোফিয়াকে একটি জাদুঘরে পরিণত করেন।
বিভিন্ন ইস্যুতে পাশ্চাত্যের সঙ্গে সংকট চলার মুহূর্তে তুরস্ক সরকার হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের ব্যাপারে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে মূলত অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট সমাধান ও জনমত ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ অতীতেও দেখা গেছে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়কে কেন্দ্র করে তুরস্ক সরকার ইউরোপের কাছ থেকে ছাড় আদায় বা দর কষাকষির চেষ্টা করে থাকে। অন্যদিকে গ্রিসও তুরস্কের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উত্থাপন করে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সমগ্র ইউরোপকে টেনে আনার চেষ্টা করেছে।
ধারনা করা হচ্ছে বর্তমানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ওই স্থাপনা তথা জাদুঘরকে ফের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঐতিহাসিক হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের ব্যাপারে গ্রিসের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও দাবির প্রতিক্রিয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট সাফ বলে দিয়েছেন, ‘তুরস্কের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।’ তিনি ইস্তাম্বুলের লুনাত এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের ব্যাপারে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ তুরস্কের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment