ঢাকাগামী তিন বাংলাদেশি যাত্রীকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ।
বৃহস্পতিবার সকাল কাতার এয়ারওয়েজে ফ্লাইটে বোর্ডিং পাস নেয়ার জন্য হাই কমিশন থেকে সত্যায়িত করা যাত্রীর ডিক্লারেশন ফরম গ্রহণ করেনি কাতার এয়ারওয়েজ।
তারা এই হেলথ ডিক্লারেশনের ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে গিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। তবে কাতার এয়ারওয়েজ বলছে, এ ধরনের স্বাস্থ্য সনদ তারা গ্রহণ করবেন না।
যথাযথ হেলথ সার্টিফিকেট না থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি যাত্রীদের বোর্ডিং পাস না দিয়ে ফেরত পাঠানোর প্রেক্ষিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজ হঠাৎ করে কী কারণে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দেয়নি, বাংলাদেশ হাইকমিশন সে বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের স্থানীয় অফিসের কাছে জানতে চেয়েছে। ইতোমধ্যে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সনদের জন্য নতুন কোনো নীতিমালা গ্রহণ করেছে কিনা, সে বিষয়ে হাইকমিশন তথ্য সংগ্রহ করছে। যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে সেসব তথ্য সবাইকে জানানো হবে।
লন্ডন থেকে বাংলাদেশগামী যাত্রীদের উদ্দেশে বলা হয়, যারা কাতারসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশ যেতে ইচ্ছুক, তারা যেন টিকিট কেনার সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথভাবে জেনে নেন। যাতে ভ্রমণের সময় তাদের কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়।
হাইকমিশন গত মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিক যাত্রীদের দেয়া স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দিচ্ছে। এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে গত মার্চ ও জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশ গেছেন।
হাইমিশন জানায়, বোর্ডিং পাস না দেয়ার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এরসঙ্গে হাইকমিশনের সত্যায়িত স্বাস্থ্যবিষয়ক ঘোষণাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার বা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
সংবাদমাধ্যমে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বলা হয়, কিছু সংবাদমাধ্যম হাইকমিশন ‘হেলথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে, তা সঠিক নয়।
হাইকমিশন থেকে কোনো যাত্রীকে এ ধরণের হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। শুধুমাত্র বাংলাদেশগামী যাত্রীদের নিজস্ব স্বাস্থ্যবিষয়ক ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগের মতো ভ্রমণ করছেন।