মে মাস থেকে ভারত-চীন সীমান্তে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে এবার বিশেষ পরিকল্পনা নিচ্ছে দিল্লি। গালওয়ানে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর ক্রমশ অশান্ত হয়ে ওঠা সীমান্তকে এবার চারটি ধাপে শান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসনিক মহল।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক আলোচনার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে দুই দেশ। তবে ভারতের পক্ষ থেকে সেই কাজ কয়েকটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে করা হবে বলেই সেনা সূত্রের তরফ থেকে জানানো হয়। ‘চার স্তম্ভ’ গঠন করে পরিকল্পনার ভীত তৈরি করেছে মোদি সরকার।
কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে?
১. সংঘর্ষবিরতি নিয়ম মেনে কোনো বাগবিতণ্ডা চলবে না সীমান্তে।
২. সীমান্তের বেশিরভাগ পেট্রলিং পয়েন্টে সব ধরনের টহল স্থগিত থাকবে।
৩. তবে সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় নজরদারি অটুট রাখা হবে।
৪. যতক্ষণ না দুই পক্ষের সেনা সরানোর কাজ শেষ হবে ততক্ষণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় সেনা মোতায়েন করা থাকবে।
জুলাই ভারত-চীন দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের পর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এই চার ধাপে সংঘর্ষবিরতি নিয়মের বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। এর পরই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক হয়। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ৬ জুলাই সহমত পোষণ করেন সকলেই।
সংঘর্ষবিরতি নিয়ম মেনে নিয়েছে চীন। দিল্লি এবং বেইজিংয়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক পর্বের পরই দুই দেশের সেনা সরে আসতে শুরু করেছে সীমান্ত থেকে।