সাম্প্রতিক শিরোনাম

ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তনি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সব সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা।

রক্তপাতহীন স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সামরিক জান্তা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ঢাকায় আলোচনায় বসেন। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করতে থাকে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।’

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি আর্মি ঢাকা রেডিও’র দখল নিলেও, গোপন তিনটি ট্রান্সমিটার আগে থেকে প্রস্তুত করে রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেগুলোতে টেলিফোনে নিজের ঘোষণা রেকর্ড করান তিনি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা প্রচারের ব্যবস্থা করেন। নিবন্ধে আরো বলা হয়, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র চালু হওয়ার অন্তত ১৮ ঘণ্টা আগে গোপন রেডিও মনিটর করে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদ প্রকাশ করে বিশ্ব গণমাধ্যম।

জেনারেল টিক্কা খান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী সিদ্দিক সালিক-এর ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গ্রন্থেও একটি বিবরণেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন।

১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র তৃতীয় খন্ডে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঘোষণা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয় ২৫ মার্চ মধ্য রাতের পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে এ ঘোষণা দেন তিনি। যা তৎকালীন ইপিআর এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে, ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

সর্বশেষ

রাশিয়ার হাতে বাখমুথের পতন, স্বীকার করে নিলো ইউক্রেন

শেষ পর্যন্ত ৯ মাস যুদ্ধ চলার পর রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের হাতে বাখমুথের পতন ঘটেছে।ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াগনার অ্যাসল্ট ইউনিটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সেইসাথে রাশিয়ান...

লক্ষ্মীপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হলো কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ সালে কফিলউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। পরিবেশ ও শিক্ষাগত দিক থেকে কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অবস্থান...

পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের সাথে সেনাবাহিনীর গুলির লড়াই অব্যাহত

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মিকে সমুলে উৎপাঠন করতে সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। এতে দুপক্ষের যুদ্ধ অবস্হা বিরাজ করায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা...

দুটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান এবং দুটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত(ভিডিও)

রাশিয়ান নিউজ আউটলেট কমার্স্যান্ট জানিয়েছে যে শনিবার ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে দুটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান এবং দুটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে, এটি নিশ্চিত...
bn_BDবাংলা