সাম্প্রতিক শিরোনাম

শৌখিন সংগ্রহের বড় অংশ জুড়ে বঙ্গবন্ধু

সেই যে হলুদ রঙের খাম পোস্টকার্ড, আহা, কত চেনা! আজ আর কেউ এসবের খোঁজ করে না। তবে এগুলোর কোনটিই একেবারে হারিয়ে যায়নি। বহুকালের পুরনো ডাকটিকেট, ব্যবহৃত অব্যহৃত খাম, পোস্টকার্ড ইত্যাদি সযতেœ সংরক্ষণ করছেন অনেকেই। এবং ভাবতে ভাললাগে যে, শৌখিন সংগ্রহের বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ৪০টি স্মারক ডাকটিকেট, ১২টি সুভেনির শিট, ৪৭টি উদ্বোধনী খাম, ৩টি বিশেষ খাম, ৪টি বিশেষ সিলমোহর, ২টি ফোল্ডার, ১টি ইনফরমেশন শিট, ৮টি এ্যারোগ্রাম ও ৫ প্রকারের পোস্টকার্ড প্রকাশ করা হয়। এগুলোর সব এখন ব্যক্তি উদ্যোগে সংরক্ষিত হচ্ছে। কখনও কখনও আলাদা করে প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ডাকটিকেটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখে বিদেশীদের অনেকে বাংলাদেশ দেখেছিলেন। একইভাবে মুক্ত স্বাধীন দেশে জাতির জনকের প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকেট, তাকে লেখা চিঠির খাম অমূল্য স্মারক হয়ে উঠেছিল। পঁচাত্তরের পর মুজিব নাম মুছে ফেলার যে গভীর ষড়যন্ত্র হয়, তারও প্রভাব পড়ে ডাক বিভাগে। আজকের সংগ্রহ ঘেঁটে, পর্যবেক্ষণ করে এমন আরও অনেক সত্য জানা যায়।

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। একসঙ্গে ৮টি ডাকটিকেট প্রকাশ করে অস্থায়ী সরকার। একটিতে ছিল পাকিস্তান কারাগারে বন্দী বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ ছবির দিকে তাকিয়ে বহু বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশকে চিনেছিলেন তখন। প্রথম ডাকটিকেটের ডিজাইন করেছিলেন লন্ডন প্রবাসী বিমান মল্লিক।

শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন করে জেগে ওঠে দেশ। ডাকটিকেটেও ফিরে পাওয়া যায় মহান নেতাকে। ওই বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত একটি স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়।

ডিজাইনার ছিলেন মতিউর রহমান। টিকেটের মূল্যমান ছিল ৪ টাকা। পরবর্তী সময়ে বিশেষ বিশেষ দিবসে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করা হয়। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ১৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট প্রকাশিত হয় স্মারক ডাকটিকেট। এসব টিকেটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।

কয়েক বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই ডাকটিকেট দিবস উপলক্ষে একটি সুভেনির শিট প্রকাশিত হয়, সেখানেও ফিরে পাওয়া যায় প্রিয় মুখ। ডাকটিকেটটির নক্সা করেন জসিম উদ্দিন।

১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে প্রকাশিত হয় বিশেষ ডাকটিকেট। ডাকটিকেটে যুক্ত করা হয় বঙ্গবন্ধুর একটি বাছাই করা ছবি। সংগ্রাহক শামসুল আলমের সংগ্রহে আছে এই ডাকটিকেট।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরকার প্রধানকে চিঠি লিখতেন নাগরিকেরা। বিদেশ থেকেও চিঠি এসেছে। হলুদ খামগুলোর বাম পাশে প্রেরকের নাম ঠিকানা লেখা। একেক সময় একেক নাম। তবে প্রাপক একজনই বঙ্গবন্ধু। কখনো গণভবনের ঠিকানায় তাঁকে লেখা হয়েছে। কখনও ধানমম-ি ৩২ নম্বরের বাসভবনের ঠিকানায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের পুরো ঠিকানা ক’জন আর জানেন? তাতে কী? মুজিব লিখতেই প্রাপকের কাছে চলে এসেছে চিঠি! রাজবাড়ির প্রভারানী সরকার তো প্রাপকের স্থানে ‘হইতে’ লিখে দিয়েছেন।

মোঃ শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, ঢাকা।এরপরও কে প্রেরক আর কে প্রাপক বুঝতে বাকি থাকে না। চিঠিটি আজ তাই ইতিহাসের স্মারক হয়ে বিশেষ মর্যাদায় সংরক্ষিত হচ্ছে।

ডাকটিকেট সংগ্রহ অনেকেরই হবি। এখন তেমন দেখা যায় না। তবে আমরা যারা পুরনো তাদের কাছে নানা সংগ্রহ আছে। উল্লেখযোগ্য একটি বলতে পারেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত ডাকটিকেট ও পোস্টকার্ড। বাড়তি আবেগ ভালবাসা থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছেন বলে জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পোস্টকার্ডের একটি সংগ্রহ রয়েছে ইফতেখার হোসাইনের। হালকা হলুদ রঙের পোস্টকার্ডের ডান কোণে ছোট্ট করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ডিজাইন করেছিলেন কে.জি মোস্তফা।

পোস্টকার্ড খুব অল্প খরচে চিঠি লেখার মাধ্যম। ১৯৭৩ সালে ছাড়া একটি পোস্টকার্ডের মূল্যমান ছিল ১০ পয়সা। বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে এ্যারোগ্রামেও। স্বাধীনতার পর পরই চালু হয়েছিল এ্যারোগ্রাম। ওই বছরই বন্ধ হয়ে যায় প্রকাশনা। খুব পাতলা খামের মতো দেখতে। কাগজের ভেতরের অংশে চিঠি লেখা হতো।

মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমরাও আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা করেছি। ইন্টারনেটের যুগে চিঠি খাম ডাকটিকেট হারিয়ে যাচ্ছে। হয়তো থাকবেই না। ঠিক তখন এই সংগ্রহ মুজিবের কথা বলবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...