বঙ্গবন্ধুর শাসন সময়, প্রাকৃতিক সম্পদ ও শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন যে, দেশে কেরােসিন তেলের ঘাটতি এখন অবসান ঘটা উচিত।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ ভারত থেকে পাঁচ মাসে পাঁচ লাখ টন অপরিশােধিত তেল ইতােমধ্যে এসে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম তেল শােধনাগারে এই তেল শােধনের কাজও চলছে। বাসসের খবরে প্রকাশ, শিল্পমন্ত্রী সকালে নারায়ণগঞ্জের কাছে হাজিগঞ্জে ইউনাইটেড রবিন ফ্যাক্টরিতে পুনরায় কাজ শুরুর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছিলেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে কেরােসিনের ডিষ্ট্রিবিউটারদের কাছে কয়েক লাখ ব্যারেল কেরােসিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে।
এর ফলে খােলাবাজারেও কেরােসিন তেলের দাম কমা উচিত। এক সতর্ক বাণী উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা পরিমিত সময়ের মধ্যে যদি কেরােসিন তেলের দাম হ্রাস না পায় তাহলে এর জন্যে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করা হবে। এবং এই ধরনের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার দ্বিধা করবে না। উৎপাদন বাড়ানাের জন্য শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে শিল্পমন্ত্রী উল্লেখ করেন। উৎপাদন না বাড়াতে নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের দাম কমবে না।
শিল্পমন্ত্রী আরাে জানান যে, এর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ চটকল ও বস্ত্র মিলে উৎপাদন শুরু হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষুদ্র শিল্পেও পুরােদমে চলছে। গত তিনমাসে বাংলাদেশ ৬০ কোটি টাকা মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির ব্যবস্থা করা হলে আগামি দুই মাসে দেড়শাে কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
Reference:
১১ মে ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, p 347