৭১ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু খসরু এফ রুস্তমজী। পুরোনাম খসরু ফারামুর্জ রুস্তমজী। শোলে সিনেমার গাব্বার সিং চরিত্রে বাস্তবে ছিল ভারতের উত্তর প্রদেশে। এই গাব্বার সিংকে খতম করেছিলেন দুঃসাহসী পুলিশ অফিসার কে এফ রুস্তমজী।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার দায়িত্ব রুস্তমজীকে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। রুস্তমজী ছিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (BSF) মহাপরিচালক। রুস্তমজী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করতে দুই সপ্তাহ লাগবে। ভারতীয় সেনাকর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ভিসি পান্ডের নেতৃত্বে বাংলাদেশের দুই হাজার গেরিলা সদস্যকে প্রশিক্ষন দেন এবং বিভিন্ন সেক্টরে প্রশিক্ষনের জন্য পাঠান। মুক্তিবাহিনী প্রশিক্ষন শেষে যুদ্ধ নামার আগেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী( BSF) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চলাচল বন্ধ করতে লুঙ্গি পরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন।একের পর এক সেতু ও রেল সেতু ধবংস করে দেয়। তিনি হলেন পুলিশ অফিসার রুস্তমজী।
১৯১৬ সালের ২২ মে ভারতবর্ষের মধ্যপ্রদেশের নাগপুরের কামতীতে জন্ম গ্রহন করেন।
১৯৩৬ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এমএসসি পাশ করেন।
১৯৩৮ সালে ভারতীয় পুলিশ ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেন।
১৯৪২ সালে বৃটিশ ভারতীয় পুলিশ মেডেল পদক লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৪৯ সালে ডিআই জি হন।
১৯৫২ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার পদে নিয়োগ পান।
১৯৫৮ সালে মধ্যপ্রদেশের পুলিশের প্রধান হন।
১৯৫৮ সালে ভারতীয় পুলিশ মেডেল পদক লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে মর্যাদাপুর্ন লড়াই করেন।
১৯৬৫ সালে বি এস এফের প্রধান হন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সীমান্ত পেরিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে বলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চান।বি এস এফ ক্যাম্পের অধিনায়ক বিষয়টি পুর্বাঞ্চলীয় বিএসএফ প্রধান গোলক মজুমদারকে জানান।
১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ বিএসএফ পুর্বাঞ্চলীয় প্রধান গোলক মজুমদার আওয়ামীলীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমেদকে দিল্লীতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রুস্তমজী। রুস্তমজী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমেদের বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তাজউদ্দিন আহমেদ বহু কষ্টে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে ছিলেন। তাজউদ্দিনের পোশাক পরিচ্ছদ জীর্ণ হয়ে পড়ে যায়, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়। মুখে ছিল বড় বড় দাড়ি। রুস্তমজী তাজউদ্দিন আহমেদের জন্যে নতুন পোশাক এবং দাড়ি কামানোর সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেন।
১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমেদের প্রথম সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্দিরা গান্ধী তাজউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে রুস্তমজীকে আদেশ দিয়েছিলেন।কারণ ইন্দিরা গান্ধী জানতেন,শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হলেন তাজউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় প্রবাসী সরকার গঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং, অস্ত্র প্রদান, শরনার্থীদের ত্রাণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তাজউদ্দিন আহমেদ এই আলোচনা সভাতেই প্রথমেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের দাবি করেন। ইন্দিরা গান্ধী এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হতে পরামর্শ দেন। ইন্দিরা গান্ধী বলেন, যথাসময়ে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। রুস্তমজী,গোলক মজুমদার প্রবাসী সরকার গঠনের বিষয়ে নিরাপত্তা ও টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেন।
১৯৭২ সালে রুস্তমজী পদ্মভুষন পদকে ভুষিত হন।
১৯৭৮ সালে জাতীয় পুলিশ কমিশনের সদস্য হন।
১৯৯১ সালে পদ্মবিভুষন পদকে ভুষিত হন।
২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ” মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা” প্রদান করেন। ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু এবং সাহসী অফিসার রুস্তমজী মৃত্যুবরন করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment