আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত মূল বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ হতে দেশ, জাতি ও সরকারের নিকট পেশকৃত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ঃ
০১. সংবিধানের প্রস্তাবনা অংশের প্রথম অনুচ্ছেদে ‘সংগ্রামের’ ও ‘মাধ্যমে’ শব্দ দুটির মাঝে “চূড়ান্ত পর্যায়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের” শব্দগুলো সংযোজন করে এবং
০২. সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে আত্মনিয়োগের পর “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ” শব্দগুলো সংযোজন করে, অথবা
০৩. সংবিধানে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা’ শিরোনামে নতুন একটি ভাগ বা পরিচ্ছেদ সংযোজন করে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা যায়।
এ প্রস্তাবের ওপরে যাঁরা আলোচনায় অংশ নেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– ডা. এম এ হাসান, আহবায়ক, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিংস কমিটি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারিক আলী, ম. হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ, বীর উত্তম, ড. তুরিন আফরোজ, প্রসিকিউটর, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল, ড. আবুল আজাদ, চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট, আলমগীর সাত্তার, বীরবিক্রম, শওকত ওসমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক-কবি গীতিকার; বজলুল হক বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অব. অতিরিক্ত সচিব; আলম তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ছড়াকার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব, ড. রীতা সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অব. যুগ্মসচিব, ব্যারিস্টার নওরোজ এম আর চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচকবৃন্দ একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন কর্তৃক প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবের প্রতি সংহতি প্রকাশসহ পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।