সম্ভাবত আগষ্ট (১৯৭১), এক রাতে আমাদের কোম্পানি কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম মন্টুর নেতৃত্বে কামাল পুর সেল্টার সেল হতে অপারেশনে অগ্রসর হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শরিফ উদ্দিন সহ বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিক,বীরমুক্তিযোদ্ধা লালা,বীরমুক্তিযোদ্ধা বকুল,বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি মোল্লা,বীরমুক্তিযোদ্ধা কালাম সহ প্রায় ২৫ জনের দল। কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে ছলিমপুর ইউনিয়নের পিচ কমিটির সভাপতি নজীর উদ্দিন খানের বাড়ী আক্রমন করে ।
কিন্তু পিচ কমিটির সভাপতি নজীর উদ্দিন খান কে তার বাড়ীতে পাওয়া যায় না।কোম্পানি কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম মন্টু হঠাৎ সিদ্ধান্ত জানালেন ভেলু পাড়া ব্রীজ ধ্বংস করবেন।
কারন ঈশ্বরদী টু কুস্টিয়া (আইকে রোড)সড়ক টি গুরুত্ব পূর্ণ পাকিস্তানি আর্মি এই সড়ক টি ব্যবহার করে এই অঞ্চলের সাথে কুস্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের সাথে অবাধে যাতায়াত করে।
সুতরাং পাকিস্তানি আর্মিদের স্হল পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করাই মুল উদ্দেশ্য।
প্রথমে মুক্তিযুদ্ধার অপারেশনের দলটি কটেশন তারের মাধ্যমে বারোজ দ্বারা এবং ডেটোনেটর এর সাহায্যে ব্রীজ টি ধ্বংস করে এবং কুস্টিয়া টু ঈশ্বরদীর সাথে পাকিস্তানি আর্মিদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ।
অপারেশন সমাপ্ত করে পূণরায় দল সেল্টার সেল কামাল পুর চলে যায়। দেশিয় কিছু কুলাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্হান পাকিস্তানি আর্মিদের জানিয়ে দিতো এবং আর্মিদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়া দিতো যেন মুক্তিযোদ্ধারা আর্মিদের আক্রমন করতে না পারে ও সতর্ক করতো। এই টা বন্ধ করতে’ই নজীর উদ্দিন খানের বাড়ী আক্রমন করা হয় ।
পরবর্তিতে খোদা বক্স খান ছলিমপুর ইউনিয়ন পিচ কমিটির সভাপতি হন। দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পিচ কমিটির সভাপতি হন শাহজাহান প্রাং।মুলাডুলি ইউনিয়ন পিচ কমিটির সভাপতি ছিলেন ইসাহক চেয়ারম্যান ।
সাম্প্রতিক / সম