আমাদের দেশের পুরুষ হোক বা মহিলা প্রত্যেকটা মানুষেরই একই সমস্যা সেটা হচ্ছে ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া। বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে বাঙালি। আর এই মাছ ভাত খেতে খেতেই যে কখন ভুড়ি তার নিজ সীমানা পার করে বেড়ে যায় তা বুঝে উঠাই যায় না।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি 5 থেকে 10 কেজি ওজন কমিয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার পেটের চর্বি গলে যাবে খুব সহজে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: শুধু এই আদা পানি খেলে যে আপনার ওজন কমে যাবে এমনটা কিন্তু নয়! আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণ ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে এবং বেসিক কিছু ব্যায়াম প্রতিদিন সকালে করতে হবে। আপনি যদি খাবারের ওপর কন্ট্রোল না করে প্রতিদিন আদা পানি খান তাহলেও কিন্তু এটা কোন কাজে দিবে না। আপনাকে অবশ্যই ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে। যদি সঠিক ডায়েট চার্ট জানা না থাকে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। বেশি রিকুয়েস্ট পড়লে ইনশাল্লাহ সেটা নিয়েও পোস্ট করবো।
আদা দিয়ে তৈরি পানীয়:
ওজন দ্রুত কমানোর অন্যতম কার্যকরী পানি হচ্ছে আদার তৈরি পানীয়। এই পানীয়টি আপনার পেটে তে জমে থাকা চর্বি কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। এই পানীয় যদি আপনি নিয়মিত পান করেন তাহলে শুধু পেটের মেদ কমবে না এর সাথে উরুর মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।
আদার পানীয় টি সঠিকভাবে প্রস্তুত করার নিয়মাবলী:
সর্ব প্রথমে একটি মিডিয়াম পাত্রে 1 লিটার পানি দিয়ে চুলায় গরম করতে দিতে হবে। গরম করতে দেওয়ার আগে সেই পানিতে 25 গ্রামের মত আদার টুকরো দিতে হবে। পানি ফুটে উঠতে শুরু করলে নিম্ন আচে 15 মিনিট জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দিতে দিতে পানীয়টি ঘন হয়ে গেলে এটি ছেকে আদা ও পানি আলাদা করে নিতে হবে। আদা আলাদা করা মানে আদার চেয়ে বাড়তি অংশগুলো থাকবেে সেই বাড়তি অংশটুকু ছেকে ফেলে দিতে হবে।
এই পানীয় খাওয়ার নিয়মাবলী:
সর্বপ্রথম বলে নেই যদি আপনি কার্যকর ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই পানীয় প্রতিদিন নিয়মিত খেতে হবে আপনি একবেলা খেলেন তো অন্য বেলা খেলেন না এভাবে অনিয়ম করলে কিন্তু কাজ হবে না। ওজন কমাতে হলে আদার এই পানীয় সকালে খালি পেটে খেতে হবে এবং দুপুরে খাওয়ার তিন ঘন্টা পরে বিকালের দিকে আবার এই পানীয় খেতে হবে।
আদার পানীয়র বাড়তি কিছু সুবিধা:
এই পানীয় টি নিয়মিত খেলে শুধু যে আপনার পেটের বাড়তি ভুঁড়ি কমবে তা কিন্তু নয় এর সাথে আপনার পেটের বিষাক্ত পদার্থ যেগুলো থাকে সেগুলো রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্কাশন করতে সাহায্য করবে এই আদার পানীয়।