পুডিং রেসিপি জানার আগ্রহ আছে যাদের, তাদের জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন। শুরুতেই চলুন পুডিং বানানো নিয়ে লাবনীর জীবনের গল্পটা শুনি।
শহরের মেয়ে হবার কারণে রান্নাবান্নার কাজে লাবণী বেশ অপটু, কাজেই বিয়ে হবার পর নতুন সংসারে তাকে এই নিয়ে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হল। বিয়ের আগে রান্নাঘরে সেরকম ঢোকেনি সে, নিজের মা কিংবা বাসার কাজের বুয়াই রান্নাবান্নার কাজগুলো দেখতো সাধারণত। তাই নিজের নতুন সংসারে রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হল লাবণীকে। এদিকে সারাজীবন মায়ের হাতের সুস্বাদু খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠা লাবণীর স্বামী, সৈকত – সেও মনে মনে লাবণীর খারাপ রান্নাবান্না নিয়ে বেশ হতাশ। যদিও সে সেটা মুখে প্রকাশ করেনা, পাছে লাবণী মন খারাপ করে বসে, কিন্তু লাবণী বিষয়টা বোঝে যে তার স্বামী তার রান্না খেয়ে সন্তুষ্ট নয়। ফলে তার মনও খারাপ হয়। পাশের বাসার ভাবীর সাথে সে কথায় কথায় বলেও ফেলে সেটা।ভাবী হেসে দেন লাবণীর কথা শুনে। বলেন, “শোন, বিয়ের প্রথমে প্রথমে আমারো এরকম রান্না নিয়ে সমস্যা হত, পরে আমি কি শিখিনি রান্না? শিখেছি! তুমিও শিখবে আস্তে আস্তে, আমি তোমাকে সাহায্য করব!”
লাবণী যেন আকাশের চাঁদ হাতে পায়। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় পাশের বাসার ভাবীর কাছ থেকে রান্না বিষয়ক টিপস নেবে, সৈকতের পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে দিয়ে উলটো তাকেই হতবাক করে দেবে! যেই ভাবা সেই কাজ। লাবণী জানে পুডিং সৈকতের অন্যতম পছন্দের একটা খাবার। পাশের বাসার ভাবীর কাছে টিপস নিয়ে তাই একদিন সে বানিয়ে ফেলল পুডিং! সে পুডিং খেয়ে সৈকতেরও চক্ষু চড়কগাছ! তার বৌ এত মজাদার পুডিং বানিয়েছে?
কিন্তু কীভাবে এই স্বল্প সময়ে এই পুডিং বানানো সম্ভব হল? খাস ফুডের টিমের কাছে লাবনী পুডিং রেসিপি জানিয়েছে! বিজ্ঞ পাঠকদের জন্য সেই পুডিং রেসিপি টা প্রকাশ করা হলঃ
পুডিং রেসিপি
ঘরে বসে ওভেন ছাড়াই ঝটপট পুডিং বানাতে যা যা লাগবে :
– পূর্ণ ননীযুক্ত পৌনে ১ লিটার দুধ
– চিনি নিজের স্বাদমতো
– ৪ টা ডিম
– আধা টেবিল চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে নেয়া, যেটা পছন্দ করেন
পুডিং বানানোর পদ্ধতি :
– পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ নিয়ে প্যানে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক পরিমাণ করে ফেলুন এবং নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন
– একটি বাটিতে ডিম নিয়ে ভালো মত ফেটিয়ে এতে চিনি দিন, দিয়ে পুনরায় ফেটাতে থাকুন। খুব ভালো করে ফেটানো হয়ে গেলে এতে ঘি বা মাখন যুক্ত করুন, আধা টেবিল চামচ। আরো খানিকক্ষণ ফেটিয়ে নিন সবকিছু মিলিয়ে
– একটি পুডিং বাটি অথবা আপনি যে পাত্রের মধ্যে পুডিং বানাতে চান সেই বাটি নিয়ে কিছু চিনি তলায় ছড়িয়ে দিন। প্রায় ১ চা চামচ পরিমাণ চিনি বাটিতে ছড়িয়ে কয়েক চামচ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন
– চিনি গলে মিশে শিরা তৈরি হয়ে লাল হয়ে ক্যারামেলের মতো তৈরি হয়ে যাবে। বাটিতে ক্যারামেল বসে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন বাটিটি
– এবার ডিম-চিনির মিশ্রণে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া দুধ ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন উক্ত মিশ্রণের সাথে। মনে রাখবেন যদি দুধ সামান্য গরম থাকে তবে ডিমকে জমাট করে ফেলবে। তাই দুধ খুব ঠাণ্ডা করে নিয়েই মেশাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া পুডিং বাটিতে পুরো মিশ্রণটি ঢেলে দিন
– একটি বড় সসপ্যান ধরণের পাত্র চুলায় বসিয়ে এর ঠিক মাঝে একটি পাতিল রাখার স্ট্যাণ্ড বসিয়ে দিন। এতে এর ১/৪ অংশ পানি নিন।
– পুডিংয়ের বাটিটি স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে ঢেকে দিন। সসপ্যান ধরণের পাত্রটিও ভালো করে ঢেকে উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন। এখন আগুন জ্বালিয়ে পানি জ্বাল করতে থাকুন
– ২০-২৫ মিনিটের মধ্যেই পুডিং হয়ে যাবে, তাই সতর্ক থাকুন। চুলা থেকে নামানোর আগে একটি কাঠি দিয়ে পুডিং ঠিকমতো হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে নিন
– এরপর পুডিং এর বাটি একটু ঠাণ্ডা হলে একটি ছড়ানো প্লেটে উল্টো করে দিন। এতে পুডিংয়ের ক্যারামেল অংশটি উপরে আসবে।
ব্যস, এবার মজা নিন সুস্বাদু পুডিংয়ের। ওভেন না থাকলেও তাই পুডিং প্রস্তুত করতে আর কোন সমস্যাই নেই!
কোথায় পাবেন পুডিং তৈরির সমস্ত উপকরণ?
এই তো জেনে গেলেন পুডিং রেসিপি। কিন্তু এ সমস্ত উপকরণ পাবেন কোথায়? বাইরে যাবেন খুঁজে খুঁজে কিনতে? তাহলে আর ঘরে বসে পুদিং বানানোর মজা থাকলো কই? পুডিং টাও তো বাইরে থেকে কিনে আনা যায়! আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- বাজারে যে সমস্ত খাদ্য উপকরণ পাওয়া যায় তা কি ভেজালমুক্ত কি না, তাই বা শিওর হবেন কি করে? শুধু মজাদার খাবার খেলে চলবে না, সেটা স্বাস্থ্যকর হতে হবে। তাই আপনাদের জন্য অনলাইন ফুড শপ- খাসফুড হতে পারে দারুণ সমাধান। পুডিং বানানোর সব উপকরণঃ ঘি, দুধ, চিনি, ডিম।
সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারের সেরা ১০০% নিরাপদ খাবার সরবরাহ করার জন্য ইতিমধ্যেই খাসফুডের সুনাম ছড়িয়েছে সর্বত্র। অনলাইনে অর্ডার করে ঘরে বসে পন্য ডেলিভারি নিন, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই। ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আগামীতে নতুন কোন মজাদার খাবারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যাব।