করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্রীর নেতৃত্বে বরিশাল নগরে বাসদ সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে। নিজেদের তৈরি জীবাণুনাশক ও তরল সাবান বিতরণ করছে। খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।
এবার সংগঠনটি ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানে রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স চালু করল। এ জন্য ১০টি তিন চাকার যানকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। চালকসহ অন্যরা যাতে রোগীর সংস্পর্শে না আসেন সে জন্য আলাদা চারটি চেম্বার মোটা পলিথিন ও কাপড় দিয়ে পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও চালকের জন্য সংগঠনটির কর্মীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছেন নিরাপত্তা পোশাক।
তাদের হটলাইনে কল করলেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সংগঠনটির একজন চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক রোগীর বাড়ি পৌঁছে যাবেন। এরপর উপসর্গ দেখে তাঁরা চিকিৎসা দেবেন। হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন।
আজ বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অ্যাম্বুলেন্স চালুর ঘোষণা দেন বাসদের জেলা সদস্যসচিব মণীষা চক্রবর্তী।
পেশায় চিকিৎসক মণীষা বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর স্বজনেরা কিংবা প্রতিবেশীরা আতঙ্কে তাঁকে হাসপতালে নিতে চাইছেন না। আমরা এমন রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে এই অ্যাম্বুলেন্স তৈরির উদ্যোগ নিই।
আমরা এ জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে বিশেষভাবে ১০টি ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে তৈরি করি।’
উদ্যোক্তারা জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা এসব অ্যাম্বুলেন্সকে নির্ভীক, নির্ভয়, আস্থা, সৌহার্দ্য, আরোগ্য, মুক্তি এমন আলাদা নামকরণ করা হয়েছে। তাদের হটলাইন নম্বর ০১৫৭২৩১৪০৮৫। এই নম্বরে ফোন দিলেই রোগীর বাড়িতে চলে যাবে এসব অ্যাম্বুলেন্স।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে ডাঃ মনীষার মানবসেবা হতে পারে একটি অনন্য উদাহরণ। রাজনীতি মানে শুধুই ক্ষমতা নয়। আজকে দেশের এই মহামারি আকারের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা বা সরকারের মুখাপেক্ষিতা নয় রাজনীতিবিদরা ইচ্ছা করলে তাদের স্ব স্ব উদ্যোগে যে মহামারি করোনা থেকে জনগনকে রক্ষা করতে পারেন। শুধু মুখে চটকদার বক্তব্য একেরপর একা দফা হাজির আর লোক হাসানো সাহায্য সহায়তা ঘোষণা বা ত্রাণ দেবার নামে ফটোসেশন কোন রাজনীতি বা মানবসেবা নয়।আসুন ডাঃ মনীষাকে অনুসরণ করুন।
এই মহাদুর্যোগ মোকাবেলায় তারমতো করে যারযার এলাকায় করোনা মোকাবেলায় দুর্গ গড়ে তুলুন।ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী হবে আগামী বাংলার চে গুয়েভরা।