ইতিবাচক ভাবনা চিন্তা যেমন মানুষকে সামনের দিয়ে নিয়ে যায় তেমনি নেতিবাচক চিন্তা আপনাকে করে দিতে পারে দুর্বল। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য রয়েছে বিভিন্ন উপায়।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি নেতিবাচক চিন্তাভাবনা কাজ করে তবে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে প্রকাশিত বিভিন্ন পন্থাগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ দেওয়ার তালিকা তৈরি করুন: দিনের শুরু ও দিনের শেষে কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় তালিকাভুক্ত করুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদের বিষয়গুলো এমন হতে পারে, যা ইতোমধ্যে আপনার আছে অথবা আপনার সারাদিনের কোনো একসময় তার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিষয়গুলো খুব সাধারণ হতে পারে। যেমন- কেউ আপনার জন্য দরজা খুলে অপেক্ষা করছে অথবা আপনি আপনার খাবারের জন্য কৃতজ্ঞ। সচেতনভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো বিষয়গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে ধীরে ধীরে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়।
হাসি খুশি থাকুন: মানুষের হাসি এবং প্রাণচঞ্চলভাব প্রত্যেকের ‘মুড’ ভালো করতে সাহায্য করে। তখন আর দিনের খারাপ কোনো ঘটনা মনে প্রভাব রাখতে পারে না। এতে আপনার হাস্যোজ্জ্বল মুখের কাছে যে কোনো সমস্যাই খুব হালকা মনে হবে।
সাহায্য করুন: বিশ্বাস করুন, অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি নিজে অনেক স্বস্তি অনুভব করবেন। গরীব ছেলে মেয়েদের জামা কাপড় দিয়ে অথবা প্রতিবেশীদের প্রয়োজনে নিত্যপণ্য দিয়ে সহায়তা করুন। একবারের জন্য হলেও নিজের সমস্যা থেকে মনোযোগ সরান তখন দেখবেন অন্যদের সাহায্য করার ফলে আপনি যে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ পাবেন তাতে মন অনেক ভালো থাকবে।
পুনরায় মূল্যায়ন: সবসময় নেতিবাচক পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো চিন্তা করুন। এটি আপনাকে নেতিবাচিক ধ্যান ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসতে সাহায্য করবে। যদি মনে হয় যে আপনি এই ধরনের সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেছেন তবে নিজেকে বোঝান ও শক্তি সঞ্চয় করুন যে পরে আবার চেষ্টা করতে পারেন। তাছাড়া মাঝে মাঝে গান শুনুন, ছবি আঁকুন, বই পড়ুন অথবা হাঁটতে যান। এতে মন নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকবে ও মন ফুরফুরে হবে।
শরীরচর্চা করুন: দ্রুত হাঁটতে পারেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট অথবা তার বেশি সময় ধরে হাঁটলে শরীরের ডোপামিন বৃদ্ধি পায়। ফলে সঠিক কাজ করার জন্য মন শক্ত হওয়ার অনুপ্রেরণা পায়। চাইলে প্রত্যেকবার শরীরচর্চার লক্ষ্য অর্জনের পর নিজেকে পুরষ্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করে নিজেকে অনুপ্রেরণা দিতে পারেন।(সংগৃহীত)