যদিও উন্নত দেশগুলোতে হাইজিন আমাদের চেয়ে বহুগুণে বেশি হলেও করোনার আক্রমণ ঠেকানো যায়নি। তবু স্বাভাবিক বুদ্ধিতেই বোঝা যায়, চারপাশের পরিবেশ নোংরা থাকলে তা জীবাণু বিস্তারের পক্ষে সহায়ক অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।
তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যারা আগাম সতর্কতা হিসেবে কিনছেন, তারা সহ, সচেতনতার অংশ হিসেবে সকলেরই উচিত নিজেদের বাড়ি-ঘর-কিচেন-ওয়াশরুম জীবাণুনাশক দিয়ে এই পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করে রাখা, ময়লা কাপড় চোপর ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেয়া।
নিজের ব্যবহারের কম্পিউটার-মোবাইল-বালতি-বদনা-মগ-দরজার হাতল-ট্যাপের মুখ যা কিছু বেশি স্পর্শ করা হয়, তার সবকিছু নতুন করে পরিষ্কার করে নেয়া। সাথে হাত বারবার ধোয়া তো আছেই। নিজেদের এলাকার ড্রেন-রাস্তাঘাট সবাই মিলে নিজেরা পরিষ্কার করা বা সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী নিযুক্ত করে পরিষ্কার করানো। খালি সরকার কেন স্কুল বন্ধ করছে না, তা নিয়েই মতামত দিতে মেতে না থেকে।
করোনা ভাইরাস মূলত মানুষের হাত থেকে অন্যান্য অঙ্গে আক্রমণ করে। কিন্তু হাত তো আর আকাশ থেকে পড়া ফুল-ফল দিয়ে নোংরা হবে না। করোনা জীবাণু আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ বা ২০ ফুটের মধ্যে তার ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমে আক্রমণ করবে। রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরেও হাতে জীবাণু আসতে পারে এই ঘনবসতি দেশে রোগীর চারপাশের পরিবেশ থেকে।
তাই আসুন, যতো পরিচ্ছন্নই থাকি না কেন, এই সময়টাতে সব কিছু আবার নতুন করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। এখনো করোনা আমাদের দেশে বিপুলভাবে বিস্তার লাভ না করে থাকলে, আমরা ভাগ্যবান জাতি। একটু চেষ্টা করে নিজেদের সৌভাগ্যটাকে ধরে রাখি সকলে মিলে।
সাম্প্রতিক /সম