বয়স ধরে রাখতে কে না চায়। তবে ইচ্ছে করলেই তো আর বয়স ধরে রাখা যায় না।বয়স চলে তার নিজের গতিতে। তবে সুস্থতা,তারুণ্য আর বয়স লুকাতে কিছু খাবার পুরুষের জন্য অতিপ্রয়োজনীয়। আমাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা জরুরি যা পুরুষের শরীর ভালো রাখবে।
কিছু খাবার আছে যা ফাইটোনিয়ট্রিয়েন্টে ভরপুর। এ ছাড়া তারুণ্য ধরে রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাট, লাইকোপেন, ভিটামিন-‘সি’ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। নিয়মিত এসব খাবার খেলে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। শুধু যে বয়সের ছাপ তাই নয়, শরীরের দুর্বলতাও কমবে।
আসুন জেনে নেই যেসব খাবার পুরুষের শরীর ভালা রাখবে।
টমেটো
শরীর ভালো রাখা ও তারুণ্য ধরে রাখতে টমেটোর বিকল্প নেই। টমেটোতে আছে লাইকোপেন। টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ থেকে এটি শরীরকে সুরক্ষা দেয়। টমেটো ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বকে প্রোটিনের সরবরাহ বজায় রাখে।
মাছের তেল
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় মাছ রাখা জরুরি। মাছের তেল আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, যা শরীরের কোষের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ঠিকমতো চালাতে সাহায্য করে। মাছের তেলে আছে উচ্চমাত্রার হজমে সহায়ক প্রোটিন।এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করে এবং বয়সের ছাপ কমায়।
বাদামবাদাম কমবেশি সবারই খুব প্রিয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখা জরুরি। বাদমে দরকারি ভিটামিন ও পুষ্টি আছে। বাদাম খেলে ভালো থাকে পুরুষের শরীর। বেরি
স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরিতে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডসের ভালো উৎস। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, যা কোলাজেনকে শক্তিশালী করে। এতে ত্বকের দাগ কমায়।
গ্রিন টি
তারুণ্য ধরে রাখতে গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের কদর দিন দিন বাড়ছে।সবুজ চায়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ। যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ভাঁজহীন ত্বক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে।
দইশরীর ভালো রাখতে দই বিশেষভাবে কাজ করে। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারি এবং বয়সের কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধে দই বিশেষভাবে কাজ করে। দইয়ে ক্যালসিয়ামও থাকে, যা প্রোটিনের ভালো উৎস। প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া হজমে সাহায্য করে। এতে রিবোফ্লাবিন, ফসফরাস ও ভিটামিন১২ রয়েছে।
অ্যাভোকাডো
পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে অ্যাভোকাডো অন্যতম। কেননা এর মধ্যে আছে নানা ঔষধি গুণও। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ ও ‘কে’। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোয় আছে ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে।