করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনে অনেকটা গৃহবন্দি পাকবধূ সানিয়া মির্জা। আর খেলা ও প্র্যাকটিস বন্ধ থাকায় পাকিস্তানে নিরানন্দ সময় কাটছে শোয়েব মালিকের। গোটা লকডাউনের তিন মাসে মিয়া-বিবির বিচ্ছেদ। ভারতে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় পাকিস্তান যেতে পারছেন না সানিয়া। দীর্ঘ সময় স্ত্রী-সন্তান থেকে দূরে এই অলরাউন্ডার।
শোয়েব পিসিবির কাছে বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন, যাতে ইংল্যান্ডের সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে কয়েকটা দিন ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে কাটাতে পারেন! পিসিবি তার সেই ছুটি মঞ্জুর করেছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা ওঠার পরেই শোয়েব মালিক স্ত্রী ও ছেলের কাছে আসবেন বলে ঠিক করেছেন।
স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে দেখা হবে এই আনন্দে শোয়েব মালিকের মন এখন কিছুটা হলেও ফুরফুরে। আর তাই তিনি এবার ইনস্টাগ্রামে চ্যাটিংয়ে মজলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খানের সঙ্গে। সেই মাহিরা যিনি রঈস সিনেমায় শাহরুখ খানের নায়িকা হয়েছিলেন।
মাহিরার সঙ্গে শোয়েবের চ্যাট স্ত্রী সানিয়া মির্জার চোখ এড়ায়নি।
ইনস্টাগ্রামে চ্যাটের আড্ডার শুরুতেই মাহিরা বলে বসেন, আসলে আমাদের দুজনেরই বয়স হয়েছে। তাই ইন্টারনেটের টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো সামলাতে একটু হোঁচট খেতে হয় বটে!
শোয়েব মালিক পাল্টা বললেন, আমি বুড়ো হয়েছি ঠিকই, তবে তোমার একটুও বয়স বাড়েনি।
মাহিরা বলেন, আমাদের এই চ্যাট যদি সানিয়া ভাবি দেখেন…! শোয়েব এর পর কিছুটা রসিকতা করে বললেন, সানিয়া আমার তো ভাবী নয়। শোয়েবের এই মশকরায় হেসে উঠলেন মাহিরা। বললেন, না না সানিয়াকে তোমার ভাবি বলতে যাব কেন! সানিয়া মির্জা আসলে গোটা পাকিস্তানের ভাবি।
এর পরই কথোপকথনের মাঝে চলে আসেন সানিয়া। হঠাৎ এসে বললেন, তোমাদের মধ্যে কী কথা হচ্ছে তা আমি সবটাই শুনেছি। এর পর অবশ্য চ্যাট বেশিক্ষণ গড়াল না। স্বামীর প্রতিটা পদক্ষেপে যে সানিয়া নজর রেখেছেন, সেটি হাবভাবে বুঝিয়ে দিলেন সানিয়া।