মুরুং জনগোষ্ঠীর কৃষি ও ধর্ম চর্চা

সাম্প্রতিক সংবাদ
মুনতাহা মিহীর
Sponsored

সুজন চৌধুরী,বান্দরবানঃ মুরুং বা ম্রো একটি আদিবাসী জনগোষ্টী।বিশেষ করে বান্দরবান জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে এদের আবাসস্তল।বিশেষ করে আলীকদম উপজেলায় দূর্গম পাহাড়ে এদের বসবাস।ম্রোরা,ম্রু ও মুরুং নামে পরিচিত।এরা অনেক পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী। খোঁজ নিয়ে দেখা যাই এদের নিজস্ব ভাষা থাকলে ও নিজস্ব কোন বর্নমালা নেই।মুরুং সমাজে কয়েকটি পরিবার মিলে একটি গোত্র গঠিত হয়।ম্রো দের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক হয়ে থাকে।


কৃষিক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় মুরুং উপজাতি নারীরাই অনেক বেশি পরিশ্রমী। পরিবার ও ঘড় সামলে পাহাড়ে জুম চাষ, ফলের বাগান, অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা নিরলসভাবে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে থাকে। পুরুষের চাইতে তারা অনেক কাজ করে।মুরুং নারীরা পুরুষদের মতো জুম ক্ষেতে কাজ করে। জুমে বিভিন্ন সবজি ও ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে থাকে তারা।

কয়েক জন মুরুং নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজ করতে তাদের কোনো সমস্যা নেই, জুমে নেমে ধান কেটে আহরণ করতে দীর্ঘ সময় পাহাড়ের গায়ে থাকতে কষ্ট হলেও এতে তাদের কোন বাধা নেই।

সংসারের চাহিদা মেটাতে জুমে মা-বাবা, স্বামী-ছেলের কাজে সহযোগিতা করতে তারা কাজ করে। পুরুষরা যাতে সংসারের অন্যান্য কাজ করার সুযোগ পায়, সেজন্যই মুরুং নারীরা জুমে চাষাবাদের মতো কষ্টকর কাজ করছেন।তারা পুরুষের মতো অধিক বোজা বহন করতে পারে।

ধর্ম- ম্রোদের আদি ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ম্রোরা মূলতঃ প্রকৃতি পূজারী। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসব উপজেলায় মিশনারী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অধিকাংশ ম্রো খ্রিষ্ঠান ধর্মে ধর্মান্তরিত হচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু অংশ বৌদ্ধ বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বি হলেও খ্রিষ্ঠান ধর্মের পাশাপাশি ম্রোদের বড় একটি অংশ ক্রামা ধর্ম পালন করে আসছে। গো-হত্যা মরুংদের উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

বান্দরবান জেলার সুয়ালক স্কুলের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মেনলে ম্রো। পড়াশুনায় ততটা মনোযোগী না হলেও মেধায় ও বুদ্ধিতে মনলে একজন আদর্শ ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ সুয়ালক স্কুলের ৫ম শ্রেণী ছাত্র। হঠাৎ একদিন কাউকে কিছু নাবলেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। দীর্ঘদিন তাকে কোথাও খোঁজাখুজি করে পাওয়া যাচ্ছিলনা। প্রায় ছয় মাস পর অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে তিনি নিজ থেকেই ফিরে আসেন এলাকায়।


ক্রামা ধর্ম ও বর্ণমালা- ১৯৮৫ সালের কথা প্রায়। “রিয়াংখুতি” নামের একটি গ্রন্থ তুলে দিলেন মুরুংদের হাতে এবং এবং বললেন এটি মুরুংদের ধর্মগ্রস্থ। এই গ্রন্থটি দিয়ে তিনি “ক্রামা” নামের একটি ধর্মের ঘোষনা দিলেন। নিজেও শুরু করলেন ক্রামা ধর্মের প্রচারণা। ১৯৮৬ সালের কোন এক সময় তিনি পূনরায় নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অদ্যবধি তিনি নিরুদ্দেশ রয়েছেন। তখন থেকে মুরুংদের বড় একটি অংশ ক্রামা ধর্মের অনুসরণ করে আসছে।উল্লেখ্য এই যে ম্রো দের কোন ধর্মগ্রন্ত নেই,কোন মন্দির ও কোন ধর্মগুরু নেই।

Sponsored
Leave a Comment
শেয়ার
সাম্প্রতিক সংবাদ
মুনতাহা মিহীর

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…

January 12, 2024

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…

January 10, 2024

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…

January 7, 2024

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…

January 6, 2024

এমনটা কেনো করলেন এ. আর রহমান?

হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…

November 12, 2023

ন্যানোমিটার সেমিকন্ডাক্টর বা চীপ তৈরিতে নিজের শক্ত অবস্থান জানান দিচ্ছে চীন

বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…

September 25, 2023
Sponsored