ছিলেন ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক, নেতা মানতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, সংগঠক হিসেবে ছিলেন মজবুত ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন। ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিমান এক যোদ্ধা।.অর্জন যেমন অনেক, তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে প্রশ্নও অনেক।
দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, অথচ মুজিব নগর সরকার বা প্রবাসী সরকার বা অস্থায়ী সরকার যাই বলি না কেন, তিনি সেই সরকারের অধীনে যুদ্ধ করেননি। তিনি নিজে ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, অথচ ছাত্র লীগের ভিতরেই নিউক্লিয়াস নামে আরেকটি সংগঠন দ্বার করালেন।” নিউক্লিয়াস” স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামেও পরিচিত ছিলো।
এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের মুল কারিগর তিনি, কিন্তু জাসদের কোন পাদ পদবী তিনি নেননি। ইতিহাস ঘাটলে যতটুকু জানা যায় ৭ই নভেম্বরের নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীও তিনি।
জাতীয় সমাজতন্ত্র তো ছিলো হিটলারের আদর্শ, এই নামের ভূত-ই বা কেন ওনার ঘাড়ে চেপে বসলো? এর কোন ব্যাখ্যা খুঁজে পেলাম না।
ইতিহাস থেকে যতটুকু বুঝতে পারলাম, সিরাজুল আলম খান যখন যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে যান তখন একই সাথে গিয়েছিলেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (প্রয়াত) আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা প্রিয় তোফায়েল আহমেদ, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ১৫ই আগষ্টে নিহত শেখ ফজলুল হক মনি, ৩ রা নভেম্বরের জেল হত্যায় নিহত, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সাহেব, ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি এবং চার খলিফা খ্যাত এক খলিফা নুরে আলম সিদ্দিকী এবং ডাঃ আবু হেনা, এরা সবাই কলকাতার সানি ভিলায় চিত্তরঞ্জন সুতার (সূত্রধর) এর নিকট থাকতেন। যতটুকু জানা যায়, তোফায়েল আহমেদ যেহেতু ডাকসুর ভিপি ছিলেন তাই তাঁকে অনেকেই চিনতো বলে সেখান থেকে তাঁকে বের হতে দিতেন না, কারণ, সেখানে চীনপন্থী নকশালদের ভয় ছিলো, তোফায়েল আহমেদকে বাহিরে পেলে হয়তো ওরা মেরে ফেলবে। চীনপন্থী নকশালরা ওখানে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার টাঙিয়েছিলেন, শেখ মুজিবের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও ইত্যাদি ইত্যাদি।
ওখানে যে সকল নেতৃবৃন্দ গিয়েছিলেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই ছদ্ম নাম ছিলো, আর এই ছদ্ম নাম গুলো ছিলো হিন্দু নামের, কারণ কলকাতা হিন্দু অধ্যূসিত এলাকা বিধায়। তার মধ্যে ডাঃ আবু হেনা’র নাম ছিলো, নিতাই চন্দ্র দাস গুপ্ত, আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের নাম ছিলো রাজু, তোফায়েল আহমেদ এর নাম ছিলো তপন (তপু), শেখ ফজলুল হক মনি’র নাম ছিলো মনি বাবু আর সিরাজুল আলম খানের নাম ছিলো সরোজ দা। এই সরোজ দা থেকেই তিনি পরবর্তীতে হয়ে গেলেন ‘দাদা।’
কিন্তু বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায় উগান্ডার স্বৈরশাসক ইদি আমিনকে সবাই “দাদা” বলে সম্বোধন করতো।
আবার তিনি বিশ্বাস করতেন বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে।
আসলে তিনি কোন তন্ত্রে বিশ্বাস করতেন তা আমি ভেবে পাচ্ছি না, তাই আমার ফেসবুক বন্ধুদের নিকট পরামর্শ চাচ্ছি, যদি আপনাদের কারো সিরাজুল আলম খানের ব্যাপারে কোন তথ্য জ্ঞান থাকে তাহলে জানাবেন প্লিজ।